ওগো বৃষ্টি, তুমি ঝরছো কেন

ওগো বৃষ্টি, তুমি ঝরছো কেন

শান্তি প্রীতির বার্তা

  ♦️গানের লিরিক্স♦️

 ✍️Lyrics: Minhaz uddin

????️Tune: Shafiq Adnan

 

.মনের কোণে আছে যত পাপ কালিমার ক্ষত

ক্ষমার মালিক করবে ক্ষমা করলে মাথা নত

বিবেদ ভুলে সব মুসলমান হতে এক প্রাণ

শান্তি প্রীতির বার্তা নিয়ে এলো রে রমাদান।।

 

আহলান সাহলান খোশ আমদান

আহলান সাহলান মাহে রমাদান

 

সিয়াম পেয়ে ও যে মুমিনের মুছে না পাপ কালি

মুখের মাঝে লেগে থাকে অশ্লিল কথা গালি

সেই তো বধির পাপের নদীর বড় নাফরমান

তার কাছে হায় হার মেনে যায় ইবলিশ শয়তান

শান্তি প্রীতির বার্তা নিয়ে এলো রে রমাদান।।

 

এইতো সময় শপথ করে নিজকে শুদ্ধ করার

নবীর হাদিস রবের কুরআন আঁকড়ে বুকে ধরার

অশ্রু চোখো দু'হাত তুলে কাঁদলে কোমল প্রাণ

রহম দ্বারা দিবে-ই তবে মালিক রহমান

শান্তি প্রীতির বার্তা নিয়ে এলো রে রমাদান।। 

রার্থনামূলক গান | মুনাজাত

হে আল্লাহ...! আমার জন্য হালাল রুজি যেন যথেষ্ট হয় হারামের প্রয়োজন যেন না হয় তোমার দানেই করো অভাব মুক্ত কারো মুখাপেক্ষী যেন হতে না হয় আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আ‘ন হারামিকা আগনিনি বিফাদলিকা আ‘ম্মান সিওয়াক ধৈর্যশীলও কৃতজ্ঞ বানাও আমায় আমার দুচোখে আমাকে ছোট ভাবিয়া মানুষের চোখে যেন বড় মনে হয় আল্লাহুম্মাজআ‘লনি ছবুরা ওয়াজআ‘লনি শাকুরা ওয়াজআ‘লনি ফি আইনি ছগিরা ওয়াফি আইনিন নাসি কাবিরা হেফাজত করো মন মুনাফেকী থেকে মুক্ত করো কাজ গর্ব থেকে জিহবা মুক্ত রাখো মিথ্যা থেকে আর দুচোখ মুক্ত রাখো খিয়ানাত থেকে আল্লাহুম্মাহফিয ক্বালবি মিন নিফাক্বি ওয়াআ‘মালি মিনার রিয়া ওয়ালিসানি মিনাল কিয্ব ওয়াআ‘ইনি মিনাল খিয়ানাহ্ 

ঈমান জাগানিয়া গান-মুমিন

গান: মুমিন কথা: নাসির মাহমুদ সুর: রাআদ ইজামা শিল্পী হাদিউজ্জামান বুলবুল ফয়সাল আহমেদ নেয়ামুল হুসাইন রাআদ ইজামা অডিও: ইনোভেশন কম্পোজার: জুলকার নাইন ভিডিও নির্দেশনা এ কে জিলানী চিত্রগ্রহন ও সম্পাদনা আবির হোসেন তারেক পরিবেশনায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী Lyric মু'মিনেরা কখনও কি মৃত্যুকে করে ভয় ঈমানের দৃঢ়তায় আল্লাহর পথে রয় ঈমানের দৃঢ়তায় শপথের পথে রয় মুমিন ... ভয় করে না বুলেট-বোমা সামনে বাড়ায় পা- হৃদয়ে নেয় কোরআন-হাদিস উসুল ও ফিকাহ ঝঞ্ঝাঝড়ে ধৈর্য ধরে প্রভুর মদদ চায় নেই পরোয়া জেল জুলুম আর 'মামলা ও হামলায় পৃথিবীর যত সুখ সম্পদ ও বিলাস পায়ে ঠেলে আল্লাহর পথে হয় লাশ শাহাদাতে খোঁজে তারা জীবনের জয় ... ঈমানের দৃঢ়তায় আল্লাহর পথে রয় ঈমানের দৃঢ়তায় শপথের পথে রয় ... মুমিন ... লোভ দেখাবে অর্থ খ্যাতি পদ ও পদবীর নবীর সেনা যায় না ভুলে সে যে রণবীর কোরআন কায়েম করতে তারা বণিক বনে যায় প্রভুর সাথে তাদের জানের 'কেনাবেচা হয় সময়ের তাগুতেরা সহৃদয় বেশে নরকের ঠিকানায় নিয়ে যায় হেসে স্বার্থ আদায়ে তারা কৌশলী হয় শপথের মুমিনেরা আল্লাহর পথে রয় মু'মিনেরা কখনও কি মৃত্যুকে করে ভয় ঈমানের দৃঢ়তায় আল্লাহর পথে রয়। ঈমানের দৃঢ়তায় শপথের পথে রয়

আল্লাহর পথে যারা দিয়েছে জীবন

কথা ও সুরঃ কবি মতিউর রহমান মল্লিক পরিবেশনায়ঃ রংপুরের বাছাইকৃত শিল্পীবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতায়ঃ সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ-(সসাস) . গানের কথাঃ-------- আল্লাহর পথে যারা দিয়েছে জীবন আল্লাহর পথে যারা দিয়েছে জীবন তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বলো না মৃত ওরা আছে চেতনায় আমাদের ওরা আছে প্রেরনায় আমাদের ওরা আছে সংগ্রামে সাধনায় দুর্বার দুর্জয় অপরাজিত। তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বলো না মৃত ওরা আছে অলখে আমাদের ওরা আছে পলকে আমাদের ওরা আছে মিছিলে মিছিলে চিরদিন চিরচেনা পরিচিত। তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বলো না মৃত ওরা আছে সাহসে আমাদের ওরা আছে সমুখে আমাদের ওরা হল শহীদি জীবনের সংগ্রামী পতাকা উচ্চকিত। তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বলো না মৃত

অশ্লীলতা দূর করে দাও

 

রহমতের মাস

| Rohmoter Mash .

কথা: আবু তাহের বেলাল .

সুর: সাইফুল্লাহ মানসুর

-------------------------------------

******** লিরিক্স ********

অশ্লীলতা দূর করে দাও

না বলে দাও নগ্নতাকে,

মনে প্রাণে কাজে লাগাও

বিশুদ্ধতার পথে খাটাও

রোজার পূত লগ্নটাকে।।

 

•ধরলে সিরাত সরল সোজা

নেক নিয়াতে রাখলে রোজা,

রোজা তো হয় জাহান্নামের ঢাল

ফাগুন ফাগুন হয় আগামী কাল।

রাইয়‍্যানেরই দুয়ার খোলে-

দীপ্ত রাখো স্বপ্নটাকে।।

 

শালীনতার চর্চা বাড়াও

কুফুর শিরিক দূরে তাড়াও,

কোরআন সুন্নার সবক নিয়ে

জাহিলিয়া রুখে দাঁড়াও।

 

ভালো কাজের দাওগো আদেশ

দাও ছড়িয়ে রোজার আবেশ,

নিষেধ করো মন্দ যতো কাজ

নাওগো পরে মুত্তাকীনের সাজ।

জুলুম শোষণ সয়ে যাবার

সাহস যেন রপ্ত থাকে।।

""""""""""""""""""""""""""""""" ✒

বাদ ফজর•২ফ্রব্রুয়ারি-২০২১

ছন্দকুটির•তিতাস• নরসিংদী।


 

এই ধরণীর স্রষ্টা যিনি

 ******** লিরিক্স ********

 

এই ধরণীর স্রষ্টা যিনি 
মহান প্রভু আল্লাহ 
প্রথমে তার শোকর যপি
 আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ |

 

কোন কাজ করতে শুরু 
বলি বিসমিল্লাহ 
প্রতিশ্রুতি থাকলে কাজের
বলবো ইনশাআল্লাহ 
খুশির খবর শুনতে পেলে
বলো সুবহানাল্লাহ |

 

কারো জন্য করতে দোয়া 
ফি আমানিল্লাহ 
কৃতজ্ঞতা করতে জ্ঞাপন 
বলি জাযাকাল্লাহ 
দু:খের খবর শুনতে পেলে
বলো ইন্না-লিল্লাহ |

 

থাকলে খুশি কারো কাজে 
বলো মাশ'আল্লাহ 
কারো কথায় কষ্ট পেলে 
মুখে নাউজুবিল্লাহ 
সকল ভুলে তাওবা করি
আস্তাগফিরুল্লাহ |
------------------------------------- 

এই ধরণীর স্রষ্টা যিনি
কথা- তৌহিদুজ্জামান
সুর - এস এম মঈন
শিল্পী: মিফতাহুল জান্নাত পারিশা

বাবা মানে


 ******** লিরিক্স ********

বাবা মানে হাজার বিকেল 
আমার ছেলে বেলা 
বাবা মানে রোজ সকালে
পুতুল পুতুল খেলা
বাবা মানে কাটছে ভালো 
যাচ্ছে ভালো দিন
বাবা মানে জমিয়ে রাখা 
আমার অনেক ঋণ |

 

আমি যতই এলোমেলো ভুলের অভিধান 
বাবা তুমি সময় মত সহজ সমাধান 
জীবনের টানাপোড়েন কিছুই না জানি 
আমার গানের স্বরলিপি তোমার মাঝেই খুঁজি
বাবার কাছে হইনা কাল আমি কোনদিনই 
বাবা ডাকে আদর করে আমায় সোনামণি |

 

বাবা মানে অনেক চাওয়া বাবা মানে অনেক পাওয়া 
বাবা মানে ছোট্ট শূন্যতা বাবা মানে অনেক পূর্ণতা|

 

ছেলেবেলা হাতছানি দেয় আজও সকাল সাঝে
 আমি বড় হইনি আজ বাবা তোমার কাছে 
 চিরদিন থাকবে বলো তুমি আমার সাথে 
 মা বলে ডাকবে বল সারা জীবন ধরে 
 বেলা শেষে তুমি আজও অনেক অভিমানে 
 কেউ না জানুক আমি জানি তোমার সোনামণি

------------------------------------- 

শিল্পীঃ জাইমা নূর 
কথা ও সুরঃ তাসনীম সাদিয়া 
 

বায়াত


 ******** লিরিক্স ********

বায়াতের অর্থ হলো রবের নিকট শপথ করা,
শরীরের রক্ত দিয়েও সেই সে শপথ আকড়ে ধরা— 
যদি তুমি বাইয়াত নিয়েও কাটাও তোমার সুখের জীবন,
তাহলে, বন্ধু তোমার বাইয়াত নেওয়ার কি প্রয়োজন? 

 

বাইয়াতের অর্থ হলো দ্বীন কায়েমের সুযোগ খোঁজা,
জীবনের সকল কাজে, খালেস মনে দ্বীনকে বোঝা—
বাইয়াতের অর্থ হলো আন্দোলনে শরীক হওয়া,
অপরের মন মগজে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া—
যদি তুমি না করো, তা মিছেই তোমার সব আয়োজন।। 

 

বাইয়াতের অর্থ হলো  লক্ষ মুমিন একত্রিত, 
তাদের ঐ মন মগজে দ্বীনের বিধান প্রতিষ্ঠিত—
বায়াতের অর্থ হলো ভরসা কেবল এক আল্লাহ,
হৃদয়ে উঠবে বেজে  জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ—
যদি করো বাইয়াত নিয়েও নাফরমানীর সেই আচরণ।। 

 

বাইয়াতের অর্থ হলো  জীবনকে উৎসর্গ করা,
বিনিময়ে রবের থেকে জান্নাতী মুকুট পড়া—
বাইয়াতের অর্থ হলো  সইতে হবে ঘাত প্রতিঘাত,
বাইয়াতের বাধন ছাড়া মৃত্যু হবে জাহিলিয়াত—
যদি তুমি সংবিধানে দ্বীন ইসলামের চাও আগমন,
তাহলে বন্ধু তোমার বাইয়াত নেওয়া খুব প্রয়োজন।।

------------------------------------- 

কথা ও সুরঃ রা'দ ইজামা 
 

বাংলা বর্ণমালা


 ******** লিরিক্স ********

ক- এ কলা খ- এ খাই
এত বেশি খেতে নাই
গ- এ গরু ঘ- এ ঘাস
কত ঘাস খেতে চাস ?
ঙ বলে কোলাব্যঙ সারাদিন ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ
ক খ গ ঘ ঙ ।।

 

চ- এ চোখ ছ- এ ছল
চোখ দুটো ছলছল
জ- এ জল ঝ- এ ঝিল
কত জল ঝিলমিল
ঞ বলে মিঞা ভাই ভয় নাই ভয় নাই
চ ছ জ ঝ ঞ ।।

 

ট- এ টুপি ঠ- এ ঠিক
হেরে গেলি ঠিকঠিক
ড- এ ডাল ঢ- এ ঢোল
ডাকে ঢোলে সোরগোল
তালু আর জিভে মিলে হল মূধণ্য ণ ।
ট ঠ ড ঢ ণ ।।

 

ত- এ তুমি থ- এ থামি
থামব নাকি আমি
দ- এ দাঁত ধ- এ ধার
কার দাঁতে কত ধার ?
দাঁতে আর জিভে মিলে হল দন্তন্য ন ।
ত থ দ ধ ন ।।

 

প- এ পাপ ফ- এ ফল
রাজা গেল রসাতল
ব- এ বোন ভ- এ ভাই
কত বোন কত ভাই
ম- এ মাটি ম- এ মা
মাটি আমার মা
প ফ ব ভ ম ।।

 

য- এ যাবে র- এ রথ
রথ যাবে ছাড়ো পথ
ল- লাল ব- বাতি
জ্বলছেরে লালবাতি
তালব্য শ- এ বলে বেশি বেশি কেন নেবে ।
য র ল ব শ ।।

তালু আর জিভে মিলে
মুর্ধ্যণ-ষ
দাঁতে আর জিভে মিলে
হ্য় দন্ত-স
ষ-এ ষাড় স-এ সাত
পালা সাপ ওরে বাপ
ঝোপ বুঝে কোপটা মারব।।

 

হ-এ হাতি ড়-এ বড়
হাতি দেখ কত বড়
ঢ-এ ফোটা দিলে ঢ়
মধু বড় গাঢ়
ৎ-এ কুপোকাৎ
মাৎ করে বাজিমাৎ
অ আ চন্দ্রবিন্দু।।

------------------------------------- 

ছড়া গান | বাংলা বর্ণমালা
শিল্পীঃ মাফরুহা বিনতে শাকুর
কথা ও সুরঃ খান আতাউর রহমান
 

আবার আসুক বায়ান্ন

******** লিরিক্স ********

আবার আসুক বায়ান্ন
আসুক আবার একুশের বান -।।
ডালে কৃষ্ণচূড়া ফুটুক আগের মতই -।।
হোক নতুন (করে) প্রভাতফেরির গান....

 

আ আ আ আ আ............

 

রফিক শফিক আসুক ফিরে
বরকত সালাম জাব্বারও -।।
হাতে হাত...., কাঁধে কাঁধ...।। 
রেখে তুলবো শ্লোগান 
দাবী আদায়ে আবারও....
বাঁধা মাড়িয়ে, সীমা ছাড়িয়ে -।।
জেগে উঠুক  শত কোটি প্রাণ........

 

আ আ আ আ আ....... 

 

মায়ের ভাষায় সহজ সুরে
ঘুম পাড়ানির গান
গাইতে আকুল হৃদয় আমার 
করেরে আনচান...
ঘুম পাড়ানির গান-।।।। 

 

কৃষক শ্রমিক মুটে মাঝি 
রাজপথে নামুক আবারও 
মুখে মুখ..... চোখে চোখ -।।
রেখে বলবো চাপা ব্যথা 
বাঁধা আসে যদি হাজারও
রুখে দাঁড়িয়ে, হাত বাড়িয়ে-।। 
তুলবো বিজয়ের নব নব তান.......

 

কথা ও সুরঃ এস বি হাবিব

ঐক্যের বাঁধ

ছিড়ে ফেলে বিভেদের জাল জিঞ্জির

চলো বাঁধি ঐক্যের বাঁধ,

রক্তের দামে কেনা দেশ রক্ষায় আজ

মিলাই সবে কাঁধে কাঁধ।!

 

সম্ভ্রমহারা বোন আহাজারি করে,

ভয়ে সংকিত থাকে মা আমার ঘরে! 

আড়ালে গুমড়ে কাঁদে মানবতা আজ 

মুখ ঢাকে স্বাধীনতা পেয়ে শত লাজ!

লজ্জারা নিজেরাও লজ্জিত হায় 

দেখে  অন্যায় অপরাধ!!

 

আর কত মা তার সম্মান হারালে

জাগবে তুমি বল জাগবে,

বিবস্ত্র বোনের ঐ আহাজারি শুনেও

এখনো কি চেয়ে চেয়ে থাকবে।

 

রক্ত ঘামে গড়া তিলে তিলে এই দেশ,

বিষাক্ত ছোবলে হতে দেবো না শেষ!

বাঁকা চাহনির ভয় ছুড়ে ফেলো দূরে

দাড়াও বীরের বেশে সম্মুখে ঘুরে।

জাতি-ধর্ম আজ নির্বিশেষে

এক হও কর প্রতিবাদ!!

 

কথা ও সুর: আ খ ম মুস্তাফিজুর রহমান

আমাদের গান

জীবনের মাঝে জীবনের গতি
যে গান জাগাতে পারে
প্রেরণার নদী তীর ভেঙে ছোটে
সাগরের অভিসারে—
সে গানের কথা সে গানের সুর
বেঁধেছি হৃদয়তারে—

এসো—সবুজের গান গাই
এসো—জীবনের গান গাই


চারপাশে শুধু হাহাকার ভাসে
অস্ফুট কত কানড়বা
মানুষের হাতে মানুষের আজ
কলিজাও হয় রানড়বা!
যে গানে জালিম ঘুমহারা হয়,
মাজলুম ভোলে সব দ্বিধা-ভয়
অবিরাম অধিকারে—
সে গানের কথা সে গানের সুর
সেধেছি হৃদয়তারে—
এসো—সাহসের গান গাই
এসো—মানুষের গান গাই


যে গানে প্রেমের জাফরানী ফুল
নির্মল ঘ্রাণে ফোটে
সে গানের বনে রঙিন পাখার
প্রজাপতি মন ছোটে!

কত ইতিহাস চাপা পড়ে আছে
মিথ্যার নীল গল্পে
তারার আকাশ আলোহীন তাই
আঁধারের রূপকল্পে!

যে গানে নিবিড় সত্যের ডাক,
জমিন কাঁপানো হায়দারী হাঁক
বেজে ওঠে বারেবারে—
সে গানের কথা সে গানের সুর
গেঁথেছি হৃদয়তারে—
এসো—বিবেকের গান গাই
এসো—আলোকের গান গাই

মুখে তোমারই নাম

মুখে তোমারই নাম

হৃদয়ে তোমারই আগুন

যেখানে মোহাম্মদের নাম

সেখানে ফোটে যে ফাগুন ।

 

যেখানে ন্যায়ের সনে মিশেছে অনিন্দ্য সুন্দর

যেখানে সতত স্বাধীন যেখানে সততা নির্ঝর

সেখানে ভরে নাতো মন ।

 

সত্য সমাগত তাই মিথ্যা অপশ্রিয়মান

যেখানে মদিনার বানী ওড়ায় গো বিজয়ও নিশান

সেখানে প্রশান্তি দেয় চুম।

 

যেখানে কেবলই নির্ভয় ভ্রাত্রি বন্ধন অক্ষয়

যেখানে নিয়ত কল্যাণ যেখানে মানবতার জয়

সেখানে অনন্দেরই ধুম।

 

যেখানে স্রষ্টারও প্রেমে সকলে লুটাই গো সিজদায়

যেখানে স্বাপদ বিষংকুল সকলি আঁধারে বিলায়

সেখানে স্বস্তি অনুপম।

 

যেখানে কোরানের আলো গড়েগো শ্বশত শাসন

রাসূলে মানবিক মনন ভেঙ্গে দেয় লোভির প্রশাসন

সেখানে খোদায়ী হুকুম ।

 

কথা ও সুর: চৌধুরী গোলাম মাওলা

নিজেকে চেনার তুমি

নিজেকে চেনার তুমি তাওফিক দাও খোদা
তোমাকে চেনার তুমি তাওফিক দাও
আলোয় দীপ্ত কর নয়ন আমার
ভোরের বিভায় ভর এ মন আমার
তবু অচেনার যত পর্দা সরাও ।


যে জানে না তোমাকে সে জানে না কিছুই
জানে না সে জীবনের অথৈ মানে
যে মানে না তোমাকে সে মানে না কিছুই
গভীর আঁধার তারে সতত টানে
বাসে না সে ভালো এই তামাম জাহান
কোন প্রাণ তার কাছে পায় নাকো দাম
অভিশাপ দেয় তারে কালের খরাও।


সরল পথের দিশা তুমি ছাড়া কেউ আর
দেখাতে পারে না ওগো পথের মালিক
মনের ভ্রান্তি যত তুমি ছাড়া কেউ আর
মোছাতে পারে না ওগো মহান খালিক।


দাম্ভিক সংশয়ী যুগে যুগে মিথ্যার
বেসাতি করায় বড় যোগ্যতর
নিজের স্বার্থ ছাড়া বোঝে না কিছুই
বস্তুই সব তার লক্ষ্য জড়
স্বদেশের ব্যথা তারে করে না কাতর
বিবেকের ঘরে তার শুধুই পাথর
কী যে কী বোঝে না আহা
বোঝে না সে তাও ।


কথা: মতিউর রহমান মল্লিক
সুর: মশিউর রহমান 

ইয়া সায়্যেদী

ইয়া সাইয়্যেদী ইসফা’লানা
আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ 
আল্লাহু আল্লাহ আল্লাহু আকবার ।


বালাগাল উলা বি কামালিহী
কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহী
হাসুনাত জামিউ খিছালিহী
সাল্লু আলাইহি ওয়ালিহী ।


ইন্নাত্তিয়া রিহাস্সাবা
ইয়াওমাল ইলা আরদিল হারাম
বাল্লিগ সালামি রাও দাতান
ফি হান্ নাবিয়্যুল মুহতারাম ।


আমিও কি তব উম্মত নহে
হিয়া পেরেশান তোমার বিরহে
অনেক সাগর তোমাতে হারায়
অনেক আকাশ দু’হাত বাড়ায় ।


দিয়েছ কেবল চাওনি কিছুই
ভেবেছ সমান উঁচু কী নিচু
ওগো প্রিয়তম প্রেম দাও কিছু
না হয় তোমার ছাড়বো না পিছু ।


সংগ্রামী তুমি বিপ্লবী তুমি 
তোমার পথে এই মুজাহিদ আমি ।


মূল: শেখ সাদী (রহ.)
কথা: মতিউর রহমান মল্লিক (বাংলা অংশ)
সুর: সংগ্রহ

স্বাধীনতা তুমি আমার

স্বাধীনতা তুমি আমার মুখের ভাষা কবির কবিতা গান
স্বাধীনতা তুমি হাজার মায়ের কোলে একটি অবুঝ সন্তান।


স্বাধীনতা তুমি কৃষ্ণচুড়ার ডালে বর্নিল বর্ণমালা
স্বাধীনতা তুমি সকালের সূর্য বিকেলের গোধূলী বেলা
স্বাধীনতা তুমি খেজুর পাতায় বাধা হাজার চরকের প্রাণ।


স্বাধীনতা তুমি খোলা নীলিমার নীচে উড়ে যাওয়া বকের সারি
স্বাধীনতা তুমি পরিপাটি ঘর আর তুলনা বিহীন নারী
স্বাধীনতা তুমি বৈশাখে বয়ে যাওয়া তীব্র চঞ্চল বান।


স্বাধীনতা তুমি পাপিয়া সুরের গানে মধুর কোকিল পাখি
স্বাধীনতা তুমি মায়ের অশ্রæ আর কাজল মাখানো আখি
স্বাধীনতা তুমি শহীদি মিছিলে পাওয়া প্রভূর সীমাহীন দান।

 

কথাঃ আল-মুকাদ্দাস
সুরঃ মাহফুজ মামুন

যার শুন্যতা এনে দেয়

যার শুন্যতা এনে দেয় বিষন্নতা
সে আমার মা
যার ছোয়া পেলে আমি ভুলে যাই দুঃখ
ভুলে যাই সব বেদনা।


মাকে ছেড়ে বহুদূর আমি আজ ব্যাথাতুর
অন্তর খুজে ফেরে মাকে
জমা হলো শত দুঃখ ভারি আজ এই বুক
চোখ মুদে আমি ভাবি মাকে
অশান্ত এই মন ছিড়ে কপট আবরণ
টেনে আনে মায়ের কল্পনা।


রোগ যাতনায় যখন আমি ছিলাম দিশেহারা
রাত্রি জেগে শিয়রে দাড়ানো মায়ের স্নেহের পরশ পেয়ে
ডুকরে কেদেছি ভেবেছি বৃথা এ জীবন মা ছাড়া


না বলা শত কথা অব্যক্ত শত ব্যাথা
তোলপাড়া তোলে আজ হৃদয়ে
মায়ের স্নেহের ছোয়া এই তো বড় পাওয়া
ভাবি আমি বহুদূরে দাড়িয়ে
একজন যার লাগি দূরে বসে আমি কাদি
নয় সে আর কেউ সে আমার মা।


কথা ও সুর: এ. এস. এম মুয়াজ্জাম হুসাইন
 

হাজার স্বপ্ন ছিল

হাজার স্বপ্ন ছিল যে আমার জাহেলী জীবনে
অন্তর ছিল অস্থির আর অশান্ত অকারণে।

 

ধন মান আর সম্পদ ঘিরে

স্বপ্নগুলো কিলবিল করে
নিশিদিন যেন রক্ত ঝরে

কালসাপের দংশনে।

 

মরণের পরে যেন নাম থাকে মানুষের অন্তরে
বুদ্ধি আর শ্রমের যত ঘাম সেদিকেই ছুটে মরে
জাহেলী জীবনের এই অন্ধকার
তীর নেই কূল নেই যেন সিমাহীন চরাচর
প্রতিযোগিতায় মত্ত এতে দুনিয়ার ইনসানে।

 

হাজার স্বপ্ন ছিল বড় হবার
হাজার স্বপ্ন ভোগ বিলাসিতার
হাজার স্বপ্ন দুহাতে কুড়াবার সুখ সম্ভার


দুনিয়ার বুকে শুধু একটাই খোয়াব আছে দেখবার
ইসলাম দিল সুখের সে খবর মানুষকে ভালোবাসবার
আল কোরআনের অন্তরে এই যে সত্যের
দিশা পেয়ে বুঝেছি এযে শান্তির অঙ্গিকার
সার্বজনীন সত্য এটাই দুনিয়ার কল্যাণে।


কথা ও সুর: শেখ আবুল কাশেম মিঠুন
 

যত গান যত সুর

আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু


গানের কথায় ওগো তুমি রবে
গানের সুরেও তুমি রবে
তুমি ছাড়া হবে না লিখা কোন গান
তুমি ছাড়া জমে না সুরেরই টান
যতগান যতসুর আছে তুমিময়
কবুল করো তুমি ওগো দয়াময়  ।


যে গানে থাকে না তোমার কথা 
যে গানে থাকে না প্রেম রাসূলের
স্বদেশের কথা যেই গানে থাকে না
থাকে না যে গানে কথা জীবনের
সেই গান সে সুরের এটুকু সুধা
আমার কণ্ঠে যেনো কভু না রয়  ।


যে গানে থাকেনা মানবতা
আহ্বান থাকেনা দ্বীনের পথে
যে গানে জিহাদের কথা থাকেনা
নিয়ে যায় আযাবের অগ্নিপথে
সেই গান কথনও যেন না হয়
যতগান হবে শুধু ওগো দয়াময় ।


কথা ও সুর মাহমুদ ফয়সাল 

দিকে দিকে ছড়াবে

দিকে দিকে ছড়াবে শান্তির বার্তা
হবে সব অনাচার খর্ব
করবো করবো এই বিশ্বটাকে
শান্তির এক স্বর্গ ।


তবে এসো খুলে দিই মনের দুয়ার
বিজয়ের গান গাই বার বার
স্বপ্ন দেখি সেই মহা সুদিনের
বাজাই সুরের সেই ডংকার
শক্ত হাতে বজ্রপাতে
ভাঙ্গি ঐ বাধার পাহাড়
গর্জে উঠি বার বার... ।

 

লক্ষ প্রাণের দানে আমাদের দেশ
আমাদের স্বাধীনতা
জীবন দেব তবু দেবনাতো মান
মানবো না পরাধীনতা
হারবো না কখনো কোন যুদ্ধে
ধরবো শক্ত হাতিয়ার
গর্জে উঠবো বার বার...।

 

আমরা ছিলাম আমরা আছি
আমরা রবো বিশ্ব জুড়ে
যেখানে থাকি যেভাবে থাকি
উঠবো মোরা পাতাল ফেড়ে

 

সমাজটাকে গড়বো মোরা
ন্যায়ের পন্থা দিয়ে
সত্য পথে লড়বো মোরা
সততার শক্তি নিয়ে
ভয় করিনা ঐ কালো চক্ষু
জাগবো দিয়ে হুংকার
গর্জে উঠবো বার বার...।

 

কথা ও সুর: আশরাফুল ইসলাম

আনতা রাব্বি

আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ
আনতা রব্বী আনতা খলিক
আনতা রহমান আনতা মালিক
আল্লাহ আল্লাহ


তোমায় ভালো না বেসে সৃষ্টি তোমায় ভালোবেসেছি
তোমার কাছে না এসে ধরণীর কাছে সব এসেছি
তবু বন্ধ করনি তুমি তোমার সুরুজের আলো দান
বন্ধ করনি বায়ু চাাঁদের আলো ছায়া ফুলেরী ঘ্রাণ
তাইতো তুমি আল্লাহ
তাইতো তুমি প্রিয় আল্লাহ
ইয়া আল্লাহু ইয়া আল্লাহ ইয়া রাহমানু ইয়া আল্লাহ
ইয়া রাহিমু ইয়া আল্লাহ ইয়া কারিমু ইয়া আল্লাহ।
ইয়া সাত্তারু ইয়া আল্লাহ......


ক্ষুদ্র পিপিলিকা তাকেও দাও তুমি খাদ্য
অনু পরমানু কেউ হয়না তোমার অবাধ্য
অবাধ্য মানুষই শুধু হয় নেয়ামাত যারা বেশি নিয়েছি
ইয়া আল্লাহু ইয়া আল্লাহ ইয়া রাহমানু ইয়া আল্লাহ
ইয়া রাহিমু ইয়া আল্লাহ ইয়া কারিমু ইয়া আল্লাহ।
ইয়া সাত্তারু ইয়া আল্লাহ......


ক্ষুদ বৃহৎ যত তোমারই হুকুম মেনে চলে
তোমার জিকির করে সুরুচ্ছাস কলকলে
মানুষ শুধুই অবাধ্য নেয়ামাত যারা বেশি ভেসেছি
ইয়া আল্লাহু ইয়া আল্লাহ ইয়া রাহমানু ইয়া আল্লাহ
ইয়া রাহিমু ইয়া আল্লাহ ইয়া কারিমু ইয়া আল্লাহ।
ইয়া সাত্তারু ইয়া আল্লাহ......

 

কথা ও সুর: আবুল আলা মাসুম

মারহাবা ইয়া মারহাবা

ইয়া রাসুল সাল্লেআলা 
মারহাবা ইয়া মারহাবা
ইয়া নাবী কামলিওয়ালা 
মারহাবা ইয়া মারহাবা 
রাহমাতুল্লিল আলামীন তুমি
জানালেন আল্লাহ তালা
মারহাবা ইয়া মারহাবা... 


তুমি যে হাবিবে খোদা
রাসুলে মাকবুল 
দ্বীন দুনিয়ার পথ দেখালে
মদিনার বুলবুল।
মরু সাহারার ধূসর বুকে
তুমি রঙিন গুলে লালা।


অন্ধকারের আলোক শিখা 
রাসুল মোহাম্মাদ 
কুল আলমের বন্ধু তিনি
সবার প্রেমাস্পদ 
সেই ফুলেরী খুশবু নিতে
গেঁথে নে সে ফুলের মালা। 


অমানিশার বুকে হানলে 
হেরার আলোর বান
হানাহানির বিশ্বে গাইলে
ভালোবাসার গান। 
রোজ হাশরের কঠিন দিনে
তুমি যে কাওছার ওয়ালা।

 

কথা ও সুর: তাফাজ্জল হোসাইন খাঁন 

আগের মতো শান্তি

আগের মতো শান্তি তো আর এখন পাওয়া যায় না
মানুষ সব পাল্টে গেছে পাল্টেনি তো জামানা
মানুষ সব পাল্টে গেছে জামানা ঠিকই আছে।

 

চুল গুলো খাটো খাটো শার্ট প্যান্ট আটো সাঁটো
সানগ্লাস চোখে তার যেন কোন জমিদার
বুট জুতা পায়ে দিয়ে কাধে এক ব্যাগ নিয়ে
ঠোঁটে দেয় লিপিষ্টিক হাসে শুধু ফিক্ ফিক্
ওদিকে গেলো দু’চোখ মনে হলো ভদ্রলোক
কাছে গিয়ে দেখি হায় পুরুষ মানুষ না
মশান লইয়া দাড়াইয়া আছে মিছ জরিনা আপা।

 

লম্বা লম্বা আছে চুল কানে দেওয়া আছে দুল
হাতেতে সোনার চুরি চিকন ফিতার ঘড়ি
পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে হাত আছে মোড়ানো
লম্বা ওড়নাটা কাঁধে আছে ঝোলানো
হেঁটে চলে আঁকা বাঁকা যেন কোন নায়িকা
কাছে গিয়া দেখি হায়! মাইয়া মানুষ না
এইডা হল আমগো পাড়ার মিঃ সোহেল রানা।

 

মোটা বই আছে হাতে কলমটা আছে সাথে
সাদা শার্ট গায়ে দিয়ে সু-জোড়া পায়ে দিয়ে
জিন্সের পড়েছে প্যান্ট মনে হয় ষ্টুডেন্ট
পরনে আছে যে বেল্ট গায়ে মাখে দামী সেন্ট
যায় বন্ধুর আড্ডায় ছিনতায় করে রাস্তায়
নেশা করে ফিন্সি গেলে আট মাস থাকে জেলে
অবশেষে মনে হলো এইডা কোন ছাত্র না
এইডা হলো আমগো পাড়ার টোকাই বাবুল কানা।

 

কথা ও সুর: মাসুদ রানা
 

ধন ধান্য পুষ্প ভরা

ধন ধান্য পুষ্প ভরা
                 -- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
ও সে সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।

চন্দ্র সূর্য গ্রহতারা, কোথায় উজল এমন ধারা
কোথায় এমন খেলে তড়িৎ এমন কালো মেঘে
তার পাখির ডাকে ঘুমিয়ে উঠি পাখির ডাকে জেগে।।

এত স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধুম্র পাহাড়
কোথায় এমন হরিত ক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে
এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে ।।

পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে
তারা ফুলের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।।

ভায়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।।

মা যে দশ মাস

মা যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরিয়া

করেছেন আমাদের ঋণী
গায়ের চামড়া কাটিয়া দিলেও

সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি, মা।

কতদিন দেখিনা মায়ের ঐ চাঁদমুখ কষ্টে হৃদয় পুড়ে
পিঠা পুলি বানাইয়া পায়েসও রান্ধিয়া মা প্রতীক্ষা করে
হাজারো বাস্ততা অবসর পাই কোথা
তাইতো হয়না যাওয়া গায়ের বাড়িতে।


চিঠি লিখে ছোটবোন টেলিফোন করে

অসুখটা যাচ্ছে মায়ের বেড়ে
ভীষণ জ্বরের ঘোরে মা কাইন্দা বলে

ভুইলা কি গেছিস মোরে

কতো ছেলে বাড়ি যায় আমার না কাজ ফুরায়

যাবো বলি তবুও বাড়ি যাওয়া রে ।

হঠাৎও একদিন রাত দুপুরে একটা খবর এল
সবকিছুই আছে আগেরই মত,মা হারিয়ে গেল
এখন আর পথ চাইয়া থাকে না কেউ বসিয়া
তাইতো কষ্টে হৃদয় গোমরে মরে
মা গো... মা গো... মা গো... দুঃখিনী মা।

 

কথা সুর ও শিল্পী: আমিরুল মোমেনিন মানিক

ইয়া সাইয়্যেদী

ইয়া সাইয়্যেদী ইশফালানা

ইয়া সাইয়্যেদী ইশফালানা

আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ 

আল্লাহ্ আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ্

আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহু আকবার 

আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্

আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহু আকবার ।

 

ইন্নালতিয়া রিহাসসবাহ্

ইয়াওমান ইলাহ্ আরদিল হারাম

বাল্লিগ সালামি রওদতান

ফিহান্নাবিয়ুল মুহতারাম ।

 

বালাগালউলা বিকামালিহি

কাসাফাদ্দুজা বিজামালিহী

হাসনাত জামিউখি সলিহি

সাল্লু আলাইহি ওয়ালিহি।

 

আমিও কি তবো উম্মাত নহে

হিয়া পেরেশান তোমার বিরহে

আনেক সাগর তোমাতে হারায়

অনেক আকাশ দুহাত বাড়ায় ।

 

দিয়েছো কেবল চাওনি কিছু

ভেবেছো সমান উচু কি নিচু

ওগো প্রিয়তম প্রেম দাও কিছু

না হয় তোমার ছাড়বো না পিছু।

 

কথা: মতিউর রহমান মল্লিক

 

আমি কোরানের সুর

আমি কোরানের সুর মাঝে শুনেছি যে নাম
আজানের সুর মাঝেও শুনেছি সে নাম।
ও নাম শুনেছি আমি, আমার হৃদয়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

ও নামে এত জাদু, এত মধুময়
ও নাম নিয়েই ফুল সুরভী ছড়ায়,
ও নামের সুর তুলে শুধু আমি চাই
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

আরশের বুকে লেখা ও মধুর নাম
তামাম মানবকুল জানায় সালাম,
ব্যাথিত মানবতা খুজেঁ ফেরে হায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

আমি কোরানের সুর মাঝে শুনেছি যে নাম
আজানের সুর মাঝেও শুনেছি সে নাম।
ও নাম শুনেছি আমি, আমার হৃদয়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

 

কথা ও সূর : আব্দুস সালাম

শিল্পী : নওশাদ মাহফুজ

সে কোন বন্ধু

সে কোন বন্ধু বল বেশী বিশ্বস্ত
কার কাছে মন খুলে দেওয়া যায়
কার কাছে সব কথা বলা যায়
হওয়া যায় বেশী আশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

যে জন কখনো ব্যাথা দিতে জানেনা
যে জন কেবলই মুছে দেয় বেদনা
হৃদয়ের হাহাকার আপন করে নিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

মহানবী বলে তারে কেউ বা ডাকে
আমি ডাকি প্রিয়তম
সে আমার ধ্যান ভালাবাসা প্রেম
মধুময় মনোহর স্বপ্ন সমর

 

যে জন করুণার অনুপম উপমা
যার মত মরমী/দরদী কোথায় আর মিলেনা
জীবনের আঙ্গিনায় আবাদ করে দিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

কথা ও সুর: মতিউর রহমান মল্লিক

 

সে কোন বন্ধু

সে কোন বন্ধু বল বেশী বিশ্বস্ত
কার কাছে মন খুলে দেওয়া যায়
কার কাছে সব কথা বলা যায়
হওয়া যায় বেশী আশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

যে জন কখনো ব্যাথা দিতে জানেনা
যে জন কেবলই মুছে দেয় বেদনা
হৃদয়ের হাহাকার আপন করে নিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

মহানবী বলে তারে কেউ বা ডাকে
আমি ডাকি প্রিয়তম
সে আমার ধ্যান ভালাবাসা প্রেম
মধুময় মনোহর স্বপ্ন সমর

 

যে জন করুণার অনুপম উপমা
যার মত মরমী/দরদী কোথায় আর মিলেনা
জীবনের আঙ্গিনায় আবাদ করে দিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

কথা ও সুর: মতিউর রহমান মল্লিক

সে কোন বন্ধু

সে কোন বন্ধু বল বেশী বিশ্বস্ত
কার কাছে মন খুলে দেওয়া যায়
কার কাছে সব কথা বলা যায়
হওয়া যায় বেশী আশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

যে জন কখনো ব্যাথা দিতে জানেনা
যে জন কেবলই মুছে দেয় বেদনা
হৃদয়ের হাহাকার আপন করে নিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

মহানবী বলে তারে কেউ বা ডাকে
আমি ডাকি প্রিয়তম
সে আমার ধ্যান ভালাবাসা প্রেম
মধুময় মনোহর স্বপ্ন সমর

 

যে জন করুণার অনুপম উপমা
যার মত মরমী/দরদী কোথায় আর মিলেনা
জীবনের আঙ্গিনায় আবাদ করে দিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

কথা ও সুর: মতিউর রহমান মল্লিক

 

সুন্নাত নয় শুধু

সুন্নাত নয় শুধু দাওয়াতের মেহমান 
সুন্নাত নয় শুধু খাওয়া শেষে মধুপান
আরও কিছু সুন্নাত আছে তুমি জান কি?
জানলেও জীবনে কখনো তা মান কি?

সুন্নাত শুধু নয় মজলুম সহায়ক 
সুন্নাত ওহুদে জালিমের প্রতিরোধ
সুন্নাত শুধু নয় নির্জন ধ্যানে যাওয়া
আরও সুন্নাত হল পাথরের আঘাত খাওয়া
মুহাব্বতে তার সুদিনের সাথী তুমি
দুর্দিনেও তার পাশে থাক কি?

সুন্নাত কোরআনের সমাজ বিনির্মাণে
বৈরী সকল পথ মাড়িয়ে চলা
সুন্নাত দাওয়াতে দীনের পাশাপাশি 
ইসলাম রক্ষায় হাতে তলোয়ার তোলা

সুন্নাত শুধু নয় নমনীয় আলাপন 
সুন্নাত প্রয়োজনে হুঙ্কার গর্জন
সুন্নাত শুধু নয় মেষ চরাতে যাওয়া
আরও সুন্নাত হল রাষ্ট্রনায়ক হওয়া
মুহাব্বতে তার খালিদ-ওমর-আলী
আবুবকরের মত পাশে থাক কি??

 

কথা ও সুর: মাহ্ফুজ বিল্লাহ্ শাহী

 

 

পুণ্যভূমি

এ দেশে আযান শুনে সূর্য ওঠে শহর গ্রামে
এ দেশে আযান শুনে সূর্য ডোবে সন্ধ্যা নামে
এ দেশে সকল কাজে সবাই বলে বিসমিল্লাহ
এ দেশে ভালো কিছু দেখে শুনে হাসি মুখে
সবাই বলে- মা শা আল্লাহ
সুবহান আল্লাহ্‌।।
-
এ দেশে পরস্পরে দেখা হলে দেয় সালাম
এ দেশে আম জনতার হৃদয় জুড়ে পাক কালাম
এ দেশে খারাপ শুনে সর্বজনে সর্বক্ষণে
দোয়া পড়ে- ইন্না লিল্লাহ
ইন্না লিল্লাহ।।
-
এ দেশের বাতাস থেকে যায় শোনা যায়
আল্লাহু আকবার
এ দেশের আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে
নাম নিয়ে আল্লার
এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এক
শ্রেষ্ঠ উপমা
পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই তো এমন
শান্তি সুষমা।। 
-
তিতুমীর শাহজালালের শাহপরানের
কদম চুমি
'লা-শরীক' উড়ল নিশান, জাগল নতুন
পুণ্যভূমি।
এ দেশে আনলো সকাল শাহ আমানত শাহমাখদুম
খানজাহান ও শরীয়তুল্লাহ
সুবহান আল্লাহ্‌।।


কথা, সুর ও সঙ্গীত: মাহফুজ বিল্লাহ শাহী

সেরাদের সেরা “থিম সং”

জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সেরাদের সেরা “থিম সং”।

গান: স্বাপ্নিক নাবিকেরা

কথা: ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

সুর: আমিরুল মোমেনীন মানিক

 

 

থিমসং: সেরাদের সেরা

 

স্বাপ্নিক নাবিকেরা বিশ্বাসী পদভারে চলো

সেরাদের সেরা হয়ে বাংলার বুক জুড়ে

বিজয়ের সুরে কথা বলো

 

লাল সবুজের দেশে গান সুর কবিতার টানে

সেরাদের সেরা হয়ে সৃষ্টির উল্লাসে

মুক্তির দিন আনি গানে।

 

বিশ্বাসে- গান সুরে আনবো সকাল

কবিতার উপমাতে স্বপ্নের দিন

নাটকের অভিনয়ে জীবনের গান

আমাদের বুকজুড়ে স্বপ্ন রঙিন

মুক্তির মশাল জ্বেলে

চলো খুঁজি একসাথে জীবনের মানে।

 

একুশের চেতনাকে বক্ষে রাখি

পতাকার রঙে রঙে স্বপ্ন উড়াই

শহীদের খুনরাঙা দেখানো পথে

হাসিমুখে একমাথে জীবন বিলাই

বিজয়ের নিশান হাতে

মঞ্জিলে যাই চলো হৃদয়ের টানে।

ছয়টি ঋতুর খেলা

গান: ছয়টি ঋতুর খেলা
কথা: মতিউর রহমান মল্লিক
সুরঃ মাহফুজ বিল্লাহ শাহী

 

কোন দেশেতে পাবিরে তুই

ছয়টি ঋতুর খেলা
ও ও ও ও ও ও- - - - - হো হো হো
গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ শেষে
হেমন্ত শীত বসন্তেরই মেলা
সে আমার এই বাংলাদেশই
সজিব সুজলা শষ্য সুফলা
মন মাতানো প্রাণ জুড়ানো
দেশ চির শ্যামলা রে ॥

 

বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখে
লতিয়ে থাকা হাজার নিবিড় নদী
জারি সারি ভাটিয়ালীর
সেই নদীরা বয়রে নিরবধী
মাঝ দরিয়ায় হাল ঘুরিয়ে
মন মাঝিরা পাল উড়িয়ে
দিক হতে দিক দিগন্তে যায়
ভাসিয়ে সুখের ভেলা ॥

 

সকাল নামে গাছের পাতায়
শিশির কনা ধুয়ে ধুয়ে ঐ
ছড়িয়ে পড়ে আলোর পাখি
ঘর বাড়ি মাঠ হৃদয় ছুয়ে ঐ
বয়রে হাওয়া নীড় নাচিয়ে
ফুল ফসলের ক্ষেত মাতিয়ে
সুনীল আকাশ গান গেয়ে যায়
রাঙিয়ে গোধুল বেলা ॥
 
বাঁশ বকুলের এ দেশ আমার
তাল তমালের এ দেশ আমার ওগো
জগত সেরা এ দেশ আমার
একটি মহান সবুজ খামার ওগো
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
হিজলতলীর ঘাট পেরিয়ে
ঝড়ের আকাশ নেয় উড়িয়ে
খড়ের বিচঞ্চলা ॥

গানের কথায় ওগো তুমি রবে

 

আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু

আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু

 

গানের কথায় ওগো তুমি রবে

গানের সুরেও তুমি রবে

তুমি ছাড়া হবে না লিখা কোন গান

তুমি ছাড়া জমে না সুরেরই টান

যতগান যতসুর আছে তুমিময়

কবুল করো তুমি ওগো দয়াময় ।

 

যে গানে থাকে না তোমার কথা

যে গানে থাকে না প্রেম রাসূলের

স্বদেশের কথা যেই গানে থাকে না

থাকে না যে গানে কথা জীবনের

সেই গান সে সুরের এটুকু সুধা

আমার কণ্ঠে যেনো কভু না রয় ।

 

যে গানে থাকেনা মানবতা

আহ্বান থাকেনা দ্বীনের পথে

যে গানে জিহাদের কথা থাকেনা

নিয়ে যায় আযাবের অগ্নিপথে

সেই গান কথনও যেন না হয়

যতগান হবে শুধু ওগো দয়াময় ।

 

 

কথা ও সুর মাহমুদ ফয়সাল

যে মা আমায় ছোট্ট থেকে - মফিজুল ইসলাম ইমন - সেরা শিশু কণ্ঠ

যে মা আমায় ছোট্ট থেকে

কথা ও সুর: 

শিল্পী: মফিজুল ইসলাম ইমন 

সেরা শিশু কণ্ঠ-২০১৫

 

 

যে মা আমায় ছোট্ট থেকে
মায়ার জালে বন্দি রেখে
করেছে পালন
হে প্রভু তুমি ও তারে
তোমার আরশ ছায়া নীড়ে
করিও লালন
মাকে করিও লালন।

 

যে মা সদা আমার পাশে
সুখে দুঃখে থাকতো বসে
সে মা আজি আমায় ছেড়ে
চলে গেছে তোমার কাছে

হে প্রভু তুলেছি হাত
তুমি তারে দাওগো নাযাত

করে নাও আপন।

হে প্রভু তুমি ও তারে...

 

আমার দুঃখে কাঁদতো যে মা মলিন করে মুখ
দু হাত তুলে তোমার কাছে চাইতো আমার সুখ।

 

যে মা ছিল সবচে আপন
সে ছাড়া আজ শুন‍্য ভূবন
আসবে না মা ফিরে কভু
কেঁদে যতই ভাসাই নয়ন

হে প্রভু তুলেছি  হাত
তুমি তারে দাওগো নাযাত
করে নাও আপন।

হে প্রভু তুমি ও তারে...

মিথ্যাবাদী - নীল প্রজাপতি

 

কথা: মতিউর রহমান মল্লিক
সুর: মশিউর রহমান

 

মিথ্যাবাদীর বন্ধু হয়ো না

হয়ো না সঙ্গী তার

তাহলে হায়রে তোমার জীবন

হয়ে যাবে ছারখার ------

 

সদাই মিথ্যা বলতে পারে যে

সব অন্যায় করতে পারে সে

ধীরে ধীরে তার শেষ হয়ে যায় লেশটুকু লজ্জার

 

বাঘে খেয়ে গেলে বাঘে খেয়ে গেলো বলতো সে এক রাখাল

চিৎকার শুনে আসতো চাষিরা মিথ্যায় হতো নাকাল

 

তারপর বাঘ আসলো যেদিন

কেউতো এগিয়ে এলো না সেদিন

বাঘ খেল তারে শাস্তি পেল সে বানিয়ে মিথ্যা বলার

 

 সকল পাপের উৎস মিথ্যা

সব খারাপের মূল

মিথ্যবাদীরা নিশ্চিতভাবে

হারায় যে দুই কূল -----

 

একটি মিথ্যা বললে তখন

হাজার বলার হয় প্রয়োজন

এইভাবে শেষে শুরু হয়ে যায় মিথ্যার কারবার