তুলনা নেই যে তোমার

তুলনা নেই যে তোমার

তাকিয়ে দেখি ঐ আকাশ পানে
দেখি নীলের মেলা
তাকিয়ে দেখি ঐ সাগর পানে
দেখি ঢেউয়ের খেলা
তোমারি সৃষ্টি তোমারি
তুলনা নেই যে তোমার

 

বৈরী বাতাসে লাগাম ধরার

বৈরী বাতাসে লাগাম ধরার

শপথ নিয়েছে যারা

জীবনের কোন প্রাপ্তি হারিয়ে

ব্যথিত নয়কো তারা

যারা শুধু চায় রবের ভক্তি

এ পথে চলার অসীম শক্তি

প্রতিদান তার প্রভুর কাছে তো সুখের নহর ধারা

 

বাতাসে লাগাম ধরতে সে তাই

ছুটে যায় ঝড়–তুফানের মাঝে

দমকা বাতাস ঝঞ্ঝা ও ত্রাস

পরাজিত তারে কভু করে না যে

বুক জুড়ে থাকে অসীম কু’য়াত

মুখ জুড়ে হাসি উদার ফুয়াদ

আলেয়ার কোন পিছুটান তাকে করে নাতো দিশেহারা

 

আকাশে মেঘের গর্জনে তাই

স্রোতস্বিনী কভু যায় নাকো থেমে

সূর্যের শত প্রখরতায়ও কি

ভাটা পড়ে নদী-সাগরের প্রেমে?

নদীর বুকে যে স্রোতের শপথ

বহাল রাখে সে গতির স্বপদ

চিরদিন ছুটে ছুটে চলেছে হয়ে সে পাগলপারা

শান্তি প্রীতির বার্তা

  ♦️গানের লিরিক্স♦️

 ✍️Lyrics: Minhaz uddin

????️Tune: Shafiq Adnan

 

.মনের কোণে আছে যত পাপ কালিমার ক্ষত

ক্ষমার মালিক করবে ক্ষমা করলে মাথা নত

বিবেদ ভুলে সব মুসলমান হতে এক প্রাণ

শান্তি প্রীতির বার্তা নিয়ে এলো রে রমাদান।।

 

আহলান সাহলান খোশ আমদান

আহলান সাহলান মাহে রমাদান

 

সিয়াম পেয়ে ও যে মুমিনের মুছে না পাপ কালি

মুখের মাঝে লেগে থাকে অশ্লিল কথা গালি

সেই তো বধির পাপের নদীর বড় নাফরমান

তার কাছে হায় হার মেনে যায় ইবলিশ শয়তান

শান্তি প্রীতির বার্তা নিয়ে এলো রে রমাদান।।

 

এইতো সময় শপথ করে নিজকে শুদ্ধ করার

নবীর হাদিস রবের কুরআন আঁকড়ে বুকে ধরার

অশ্রু চোখো দু'হাত তুলে কাঁদলে কোমল প্রাণ

রহম দ্বারা দিবে-ই তবে মালিক রহমান

শান্তি প্রীতির বার্তা নিয়ে এলো রে রমাদান।। 

মুখে তোমারই নাম

মুখে তোমারই নাম

হৃদয়ে তোমারই আগুন

যেখানে মোহাম্মদের নাম

সেখানে ফোটে যে ফাগুন ।

 

যেখানে ন্যায়ের সনে মিশেছে অনিন্দ্য সুন্দর

যেখানে সতত স্বাধীন যেখানে সততা নির্ঝর

সেখানে ভরে নাতো মন ।

 

সত্য সমাগত তাই মিথ্যা অপশ্রিয়মান

যেখানে মদিনার বানী ওড়ায় গো বিজয়ও নিশান

সেখানে প্রশান্তি দেয় চুম।

 

যেখানে কেবলই নির্ভয় ভ্রাত্রি বন্ধন অক্ষয়

যেখানে নিয়ত কল্যাণ যেখানে মানবতার জয়

সেখানে অনন্দেরই ধুম।

 

যেখানে স্রষ্টারও প্রেমে সকলে লুটাই গো সিজদায়

যেখানে স্বাপদ বিষংকুল সকলি আঁধারে বিলায়

সেখানে স্বস্তি অনুপম।

 

যেখানে কোরানের আলো গড়েগো শ্বশত শাসন

রাসূলে মানবিক মনন ভেঙ্গে দেয় লোভির প্রশাসন

সেখানে খোদায়ী হুকুম ।

 

কথা ও সুর: চৌধুরী গোলাম মাওলা

নিজেকে চেনার তুমি

নিজেকে চেনার তুমি তাওফিক দাও খোদা
তোমাকে চেনার তুমি তাওফিক দাও
আলোয় দীপ্ত কর নয়ন আমার
ভোরের বিভায় ভর এ মন আমার
তবু অচেনার যত পর্দা সরাও ।


যে জানে না তোমাকে সে জানে না কিছুই
জানে না সে জীবনের অথৈ মানে
যে মানে না তোমাকে সে মানে না কিছুই
গভীর আঁধার তারে সতত টানে
বাসে না সে ভালো এই তামাম জাহান
কোন প্রাণ তার কাছে পায় নাকো দাম
অভিশাপ দেয় তারে কালের খরাও।


সরল পথের দিশা তুমি ছাড়া কেউ আর
দেখাতে পারে না ওগো পথের মালিক
মনের ভ্রান্তি যত তুমি ছাড়া কেউ আর
মোছাতে পারে না ওগো মহান খালিক।


দাম্ভিক সংশয়ী যুগে যুগে মিথ্যার
বেসাতি করায় বড় যোগ্যতর
নিজের স্বার্থ ছাড়া বোঝে না কিছুই
বস্তুই সব তার লক্ষ্য জড়
স্বদেশের ব্যথা তারে করে না কাতর
বিবেকের ঘরে তার শুধুই পাথর
কী যে কী বোঝে না আহা
বোঝে না সে তাও ।


কথা: মতিউর রহমান মল্লিক
সুর: মশিউর রহমান 

ইয়া সায়্যেদী

ইয়া সাইয়্যেদী ইসফা’লানা
আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ 
আল্লাহু আল্লাহ আল্লাহু আকবার ।


বালাগাল উলা বি কামালিহী
কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহী
হাসুনাত জামিউ খিছালিহী
সাল্লু আলাইহি ওয়ালিহী ।


ইন্নাত্তিয়া রিহাস্সাবা
ইয়াওমাল ইলা আরদিল হারাম
বাল্লিগ সালামি রাও দাতান
ফি হান্ নাবিয়্যুল মুহতারাম ।


আমিও কি তব উম্মত নহে
হিয়া পেরেশান তোমার বিরহে
অনেক সাগর তোমাতে হারায়
অনেক আকাশ দু’হাত বাড়ায় ।


দিয়েছ কেবল চাওনি কিছুই
ভেবেছ সমান উঁচু কী নিচু
ওগো প্রিয়তম প্রেম দাও কিছু
না হয় তোমার ছাড়বো না পিছু ।


সংগ্রামী তুমি বিপ্লবী তুমি 
তোমার পথে এই মুজাহিদ আমি ।


মূল: শেখ সাদী (রহ.)
কথা: মতিউর রহমান মল্লিক (বাংলা অংশ)
সুর: সংগ্রহ

আসবে জানি সেই

আসবে জানি সেই পথ মরুর
দরিয়ার মিল্লনা আসবে কভূ
তবুও সেই পথ জানি যে মাঞ্জিল
জানি আছে ছায়া তরু ।


এই সবুজ পৃথিবীতে যুগে যুগে নবীরা
মুমীনেরা লয়েছেন ক্লান্তি বিহীন
আঁধারের যত পথ মোন গড়া মানুষের
দূর করে আনতে আলোক সুদিন
যন্ত্রনা নিপীরণ আর যত ব্যাথা
সয়েছেন অকাতরে সকল কিছু ।


শুধু শুধু বেপরোয়া যুদ্ধের হুংকার
ছিলনাতো কথনও তাদের কাজ
তপ্ত মরুর বুকে বেলালের কণ্ঠে
জান্নাতি তাকবীর আহাদ আওয়াজ


ঐ বেদুইন বরবর কাতারের যুলুমে
মানবতা নিঃশ্বেষ লাশ হলো
 সেই সে জালিমের ঘুম ভেঙে উঠলো
 হেরার আলোকে রঙিন হলো
চাদিনের দাওয়াতে হালাকুর বংশে
নতুন দিনের উঠলো  তরুণ ।


কথা ও সুর : মুজাহিদ আল মুসা

স্বাধীনতা তুমি আমার

স্বাধীনতা তুমি আমার মুখের ভাষা কবির কবিতা গান
স্বাধীনতা তুমি হাজার মায়ের কোলে একটি অবুঝ সন্তান।


স্বাধীনতা তুমি কৃষ্ণচুড়ার ডালে বর্নিল বর্ণমালা
স্বাধীনতা তুমি সকালের সূর্য বিকেলের গোধূলী বেলা
স্বাধীনতা তুমি খেজুর পাতায় বাধা হাজার চরকের প্রাণ।


স্বাধীনতা তুমি খোলা নীলিমার নীচে উড়ে যাওয়া বকের সারি
স্বাধীনতা তুমি পরিপাটি ঘর আর তুলনা বিহীন নারী
স্বাধীনতা তুমি বৈশাখে বয়ে যাওয়া তীব্র চঞ্চল বান।


স্বাধীনতা তুমি পাপিয়া সুরের গানে মধুর কোকিল পাখি
স্বাধীনতা তুমি মায়ের অশ্রæ আর কাজল মাখানো আখি
স্বাধীনতা তুমি শহীদি মিছিলে পাওয়া প্রভূর সীমাহীন দান।

 

কথাঃ আল-মুকাদ্দাস
সুরঃ মাহফুজ মামুন

যার শুন্যতা এনে দেয়

যার শুন্যতা এনে দেয় বিষন্নতা
সে আমার মা
যার ছোয়া পেলে আমি ভুলে যাই দুঃখ
ভুলে যাই সব বেদনা।


মাকে ছেড়ে বহুদূর আমি আজ ব্যাথাতুর
অন্তর খুজে ফেরে মাকে
জমা হলো শত দুঃখ ভারি আজ এই বুক
চোখ মুদে আমি ভাবি মাকে
অশান্ত এই মন ছিড়ে কপট আবরণ
টেনে আনে মায়ের কল্পনা।


রোগ যাতনায় যখন আমি ছিলাম দিশেহারা
রাত্রি জেগে শিয়রে দাড়ানো মায়ের স্নেহের পরশ পেয়ে
ডুকরে কেদেছি ভেবেছি বৃথা এ জীবন মা ছাড়া


না বলা শত কথা অব্যক্ত শত ব্যাথা
তোলপাড়া তোলে আজ হৃদয়ে
মায়ের স্নেহের ছোয়া এই তো বড় পাওয়া
ভাবি আমি বহুদূরে দাড়িয়ে
একজন যার লাগি দূরে বসে আমি কাদি
নয় সে আর কেউ সে আমার মা।


কথা ও সুর: এ. এস. এম মুয়াজ্জাম হুসাইন
 

এদেশের শিশু আমরা

এদেশের শিশু আমরা সবাই
অধিকার সবার আছে
সোনার অলংকার দেশের বুকে
উজ্জ্বল হয়ে ভাসছে
আমাদের অধিকার চাই
আমাদের প্রতিদান চাই
আমরা সুন্দর পৃথিবীতে
সুন্দর থাকতে চাই ।

 

প্রতিদিন সকালে সূর্য ওঠে
সূর্যমুখী ওঠে হেসে
আমরাও চাই রাঙিয়ে যেতে
সকালকে ভালোবেসে
যাদের বই নিয়ে যাওয়ার কথা স্কুলে 
তারা কেন কাঁধে বোঝা নিয়ে 
চলছে কাদামাটি জলে
আমরা পড়তে চাই 
আমরা খেলতে চাই ।

 

সাগরের স্রোতের মত যায় রে ভেসে
দুখী ফুলের মত শিশু 
আমরা হবো ফুলের বাগান
পঁচা নর্দমা ফেলে পিছু
শিশুরাই আগামীর স্বপ্নেরই জাল বোনে
তারা আর কাঁদবে না শত বেদনায়
ছুটবে আগামীর পানে
আমাদের স্বাধীনতা চাই
যেন মুক্ত বাতাস পাই ।

 

কথা ও সুর: এস. এম. মঈনুল ইসলাম
 

হাজার স্বপ্ন ছিল

হাজার স্বপ্ন ছিল যে আমার জাহেলী জীবনে
অন্তর ছিল অস্থির আর অশান্ত অকারণে।

 

ধন মান আর সম্পদ ঘিরে

স্বপ্নগুলো কিলবিল করে
নিশিদিন যেন রক্ত ঝরে

কালসাপের দংশনে।

 

মরণের পরে যেন নাম থাকে মানুষের অন্তরে
বুদ্ধি আর শ্রমের যত ঘাম সেদিকেই ছুটে মরে
জাহেলী জীবনের এই অন্ধকার
তীর নেই কূল নেই যেন সিমাহীন চরাচর
প্রতিযোগিতায় মত্ত এতে দুনিয়ার ইনসানে।

 

হাজার স্বপ্ন ছিল বড় হবার
হাজার স্বপ্ন ভোগ বিলাসিতার
হাজার স্বপ্ন দুহাতে কুড়াবার সুখ সম্ভার


দুনিয়ার বুকে শুধু একটাই খোয়াব আছে দেখবার
ইসলাম দিল সুখের সে খবর মানুষকে ভালোবাসবার
আল কোরআনের অন্তরে এই যে সত্যের
দিশা পেয়ে বুঝেছি এযে শান্তির অঙ্গিকার
সার্বজনীন সত্য এটাই দুনিয়ার কল্যাণে।


কথা ও সুর: শেখ আবুল কাশেম মিঠুন
 

যত গান যত সুর

আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু


গানের কথায় ওগো তুমি রবে
গানের সুরেও তুমি রবে
তুমি ছাড়া হবে না লিখা কোন গান
তুমি ছাড়া জমে না সুরেরই টান
যতগান যতসুর আছে তুমিময়
কবুল করো তুমি ওগো দয়াময়  ।


যে গানে থাকে না তোমার কথা 
যে গানে থাকে না প্রেম রাসূলের
স্বদেশের কথা যেই গানে থাকে না
থাকে না যে গানে কথা জীবনের
সেই গান সে সুরের এটুকু সুধা
আমার কণ্ঠে যেনো কভু না রয়  ।


যে গানে থাকেনা মানবতা
আহ্বান থাকেনা দ্বীনের পথে
যে গানে জিহাদের কথা থাকেনা
নিয়ে যায় আযাবের অগ্নিপথে
সেই গান কথনও যেন না হয়
যতগান হবে শুধু ওগো দয়াময় ।


কথা ও সুর মাহমুদ ফয়সাল 

দিকে দিকে ছড়াবে

দিকে দিকে ছড়াবে শান্তির বার্তা
হবে সব অনাচার খর্ব
করবো করবো এই বিশ্বটাকে
শান্তির এক স্বর্গ ।


তবে এসো খুলে দিই মনের দুয়ার
বিজয়ের গান গাই বার বার
স্বপ্ন দেখি সেই মহা সুদিনের
বাজাই সুরের সেই ডংকার
শক্ত হাতে বজ্রপাতে
ভাঙ্গি ঐ বাধার পাহাড়
গর্জে উঠি বার বার... ।

 

লক্ষ প্রাণের দানে আমাদের দেশ
আমাদের স্বাধীনতা
জীবন দেব তবু দেবনাতো মান
মানবো না পরাধীনতা
হারবো না কখনো কোন যুদ্ধে
ধরবো শক্ত হাতিয়ার
গর্জে উঠবো বার বার...।

 

আমরা ছিলাম আমরা আছি
আমরা রবো বিশ্ব জুড়ে
যেখানে থাকি যেভাবে থাকি
উঠবো মোরা পাতাল ফেড়ে

 

সমাজটাকে গড়বো মোরা
ন্যায়ের পন্থা দিয়ে
সত্য পথে লড়বো মোরা
সততার শক্তি নিয়ে
ভয় করিনা ঐ কালো চক্ষু
জাগবো দিয়ে হুংকার
গর্জে উঠবো বার বার...।

 

কথা ও সুর: আশরাফুল ইসলাম

খানজাহানের পূণ্যভূমি


খানজাহানের পূণ্যভূমি খলিফাতাবাদ
খানজাহানের পূণ্যভূমি সোনার বাগেরহাট
সাত আকাশের সূর্য আমার 
সাত আকাশের চাঁদ ।

 

পান সুপারি নারকেল আম জাম
বাগানেতে ভরা
হরেক রকম গাছ গাছালীর
ছায়াতে যে ঘেরা 
আমি পাইনি কোথাও এমন মাটি
এমন মায়ের ফাঁদ।

 

এইখানে সেই ষাট গম্বুজ
কত কীর্তি আর
মনভোলানো হাজার দিঘী
মসজিদ ও মাজার
আমি যতই দেখি মন ভরে না
মেটে না তো স্বাদ।

 

মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে
নদীর পরে নদী
সুন্দরবনের শিয়র দিয়ে
বইছে নিরবধী
আমি যতই ভাবি সেই সব কথা
ততই বাড়ে স্বাদ।

 

আল্লাহর ওলী লাখো লাখো
লাখো মুজাহিদ
জীবন দিয়ে গড়লো হেথায়
মানবতার ভীত
আমি যতই খুজি সেই ইতিহাস
অশ্রু ভাঙে বাঁধ।

 

সেই সোঁনালী দিনগুলি ভাই
আসবে তাড়াতাড়ি
আল-কোরআনের সমাজ যদি
আবার গড়তে পারি
খানজাহানের মত করি 
খেলাফাতাবাদ। 

 

কথা ও সুর: মতিউর রহমান মল্লিক
 

আগের মতো শান্তি

আগের মতো শান্তি তো আর এখন পাওয়া যায় না
মানুষ সব পাল্টে গেছে পাল্টেনি তো জামানা
মানুষ সব পাল্টে গেছে জামানা ঠিকই আছে।

 

চুল গুলো খাটো খাটো শার্ট প্যান্ট আটো সাঁটো
সানগ্লাস চোখে তার যেন কোন জমিদার
বুট জুতা পায়ে দিয়ে কাধে এক ব্যাগ নিয়ে
ঠোঁটে দেয় লিপিষ্টিক হাসে শুধু ফিক্ ফিক্
ওদিকে গেলো দু’চোখ মনে হলো ভদ্রলোক
কাছে গিয়ে দেখি হায় পুরুষ মানুষ না
মশান লইয়া দাড়াইয়া আছে মিছ জরিনা আপা।

 

লম্বা লম্বা আছে চুল কানে দেওয়া আছে দুল
হাতেতে সোনার চুরি চিকন ফিতার ঘড়ি
পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে হাত আছে মোড়ানো
লম্বা ওড়নাটা কাঁধে আছে ঝোলানো
হেঁটে চলে আঁকা বাঁকা যেন কোন নায়িকা
কাছে গিয়া দেখি হায়! মাইয়া মানুষ না
এইডা হল আমগো পাড়ার মিঃ সোহেল রানা।

 

মোটা বই আছে হাতে কলমটা আছে সাথে
সাদা শার্ট গায়ে দিয়ে সু-জোড়া পায়ে দিয়ে
জিন্সের পড়েছে প্যান্ট মনে হয় ষ্টুডেন্ট
পরনে আছে যে বেল্ট গায়ে মাখে দামী সেন্ট
যায় বন্ধুর আড্ডায় ছিনতায় করে রাস্তায়
নেশা করে ফিন্সি গেলে আট মাস থাকে জেলে
অবশেষে মনে হলো এইডা কোন ছাত্র না
এইডা হলো আমগো পাড়ার টোকাই বাবুল কানা।

 

কথা ও সুর: মাসুদ রানা
 

মা যে দশ মাস

মা যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরিয়া

করেছেন আমাদের ঋণী
গায়ের চামড়া কাটিয়া দিলেও

সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি, মা।

কতদিন দেখিনা মায়ের ঐ চাঁদমুখ কষ্টে হৃদয় পুড়ে
পিঠা পুলি বানাইয়া পায়েসও রান্ধিয়া মা প্রতীক্ষা করে
হাজারো বাস্ততা অবসর পাই কোথা
তাইতো হয়না যাওয়া গায়ের বাড়িতে।


চিঠি লিখে ছোটবোন টেলিফোন করে

অসুখটা যাচ্ছে মায়ের বেড়ে
ভীষণ জ্বরের ঘোরে মা কাইন্দা বলে

ভুইলা কি গেছিস মোরে

কতো ছেলে বাড়ি যায় আমার না কাজ ফুরায়

যাবো বলি তবুও বাড়ি যাওয়া রে ।

হঠাৎও একদিন রাত দুপুরে একটা খবর এল
সবকিছুই আছে আগেরই মত,মা হারিয়ে গেল
এখন আর পথ চাইয়া থাকে না কেউ বসিয়া
তাইতো কষ্টে হৃদয় গোমরে মরে
মা গো... মা গো... মা গো... দুঃখিনী মা।

 

কথা সুর ও শিল্পী: আমিরুল মোমেনিন মানিক

ইয়া সাইয়্যেদী

ইয়া সাইয়্যেদী ইশফালানা

ইয়া সাইয়্যেদী ইশফালানা

আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ 

আল্লাহ্ আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ্

আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহু আকবার 

আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্

আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহু আকবার ।

 

ইন্নালতিয়া রিহাসসবাহ্

ইয়াওমান ইলাহ্ আরদিল হারাম

বাল্লিগ সালামি রওদতান

ফিহান্নাবিয়ুল মুহতারাম ।

 

বালাগালউলা বিকামালিহি

কাসাফাদ্দুজা বিজামালিহী

হাসনাত জামিউখি সলিহি

সাল্লু আলাইহি ওয়ালিহি।

 

আমিও কি তবো উম্মাত নহে

হিয়া পেরেশান তোমার বিরহে

আনেক সাগর তোমাতে হারায়

অনেক আকাশ দুহাত বাড়ায় ।

 

দিয়েছো কেবল চাওনি কিছু

ভেবেছো সমান উচু কি নিচু

ওগো প্রিয়তম প্রেম দাও কিছু

না হয় তোমার ছাড়বো না পিছু।

 

কথা: মতিউর রহমান মল্লিক

 

আমি কোরানের সুর

আমি কোরানের সুর মাঝে শুনেছি যে নাম
আজানের সুর মাঝেও শুনেছি সে নাম।
ও নাম শুনেছি আমি, আমার হৃদয়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

ও নামে এত জাদু, এত মধুময়
ও নাম নিয়েই ফুল সুরভী ছড়ায়,
ও নামের সুর তুলে শুধু আমি চাই
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

আরশের বুকে লেখা ও মধুর নাম
তামাম মানবকুল জানায় সালাম,
ব্যাথিত মানবতা খুজেঁ ফেরে হায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

আমি কোরানের সুর মাঝে শুনেছি যে নাম
আজানের সুর মাঝেও শুনেছি সে নাম।
ও নাম শুনেছি আমি, আমার হৃদয়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

 

কথা ও সূর : আব্দুস সালাম

শিল্পী : নওশাদ মাহফুজ

সে কোন বন্ধু

সে কোন বন্ধু বল বেশী বিশ্বস্ত
কার কাছে মন খুলে দেওয়া যায়
কার কাছে সব কথা বলা যায়
হওয়া যায় বেশী আশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

যে জন কখনো ব্যাথা দিতে জানেনা
যে জন কেবলই মুছে দেয় বেদনা
হৃদয়ের হাহাকার আপন করে নিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

মহানবী বলে তারে কেউ বা ডাকে
আমি ডাকি প্রিয়তম
সে আমার ধ্যান ভালাবাসা প্রেম
মধুময় মনোহর স্বপ্ন সমর

 

যে জন করুণার অনুপম উপমা
যার মত মরমী/দরদী কোথায় আর মিলেনা
জীবনের আঙ্গিনায় আবাদ করে দিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

 

কথা ও সুর: মতিউর রহমান মল্লিক

 

সুন্নাত নয় শুধু

সুন্নাত নয় শুধু দাওয়াতের মেহমান 
সুন্নাত নয় শুধু খাওয়া শেষে মধুপান
আরও কিছু সুন্নাত আছে তুমি জান কি?
জানলেও জীবনে কখনো তা মান কি?

সুন্নাত শুধু নয় মজলুম সহায়ক 
সুন্নাত ওহুদে জালিমের প্রতিরোধ
সুন্নাত শুধু নয় নির্জন ধ্যানে যাওয়া
আরও সুন্নাত হল পাথরের আঘাত খাওয়া
মুহাব্বতে তার সুদিনের সাথী তুমি
দুর্দিনেও তার পাশে থাক কি?

সুন্নাত কোরআনের সমাজ বিনির্মাণে
বৈরী সকল পথ মাড়িয়ে চলা
সুন্নাত দাওয়াতে দীনের পাশাপাশি 
ইসলাম রক্ষায় হাতে তলোয়ার তোলা

সুন্নাত শুধু নয় নমনীয় আলাপন 
সুন্নাত প্রয়োজনে হুঙ্কার গর্জন
সুন্নাত শুধু নয় মেষ চরাতে যাওয়া
আরও সুন্নাত হল রাষ্ট্রনায়ক হওয়া
মুহাব্বতে তার খালিদ-ওমর-আলী
আবুবকরের মত পাশে থাক কি??

 

কথা ও সুর: মাহ্ফুজ বিল্লাহ্ শাহী

 

 

তোমাকে দেখিনি তবু

তোমাকে দেখিনি তবু জানি তোমার অস্তিত্ব ভাসে
যত দূরে যাই কিংবা যেদিকে তাকাই
সেখানে আছো তুমি মিশে আছো ভূলোক দ্যুলোক
তোমার নামের জ্যোতি আঁধারেও অবিরাম হাসে
আমার ভেতরে হে অনন্ত তোমার সহস্র নাম 
ঢেউ তোলে বার বার গেয়ে ওঠে 
তোমার নামের কালাম ।

 

দিয়েছ অঢেল তুমি হে মালিক শীতল বাতাস
বৃক্ষলতা জমিনের জরি পাট
ঘাসের বিছানা আমাকে দিয়েছ তুমি
রহমের দিগন্ত সীমানা 
মাথার উপরে ছাদ কারুকাজ
সুনীল আকাশ ।

 

যতটুকু জানি তার চেয়ে তুমি অনেক মহান
সমুদ্রের তলদেশে আছো তুমি অণুর শরীরে
অন্তরীক্ষে দৃশ্যের অতীতে ভেতরে আর বাহিরে
সর্বত্র তোমার ছায়া
কী বিশাল দীপ্তজ্যোতির্ময় ।

 

কথা: মোশাররফ হোসেন খান
সুর: আমিনুল ইসলাম

নিঝুম রাতে দূর

নিঝুম রাতে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে
ছোট্ট ছেলে মাকে বলে স্রষ্টা আমার কে
মা বললো ধৈর্য্য ধর যখন তুমি হবে বড়
জানতে পারবে তোমার আমার স্রষ্টা সে যে কে ।


সেই ছেলেটির মন যে তবু ভরে না
মায়ের কোন মানাই মনে ধরে না
আম খেয়ে সে ভাবতে থাকে 
মিষ্টি ঢেলে দিয়েছে কে
কার নামে বাসন্তী কোকিল কুহু ডাকে ।


দীঘির পাড়ে বসে ছেলে ভাবছে
শান্ত জলের কাছে প্রশ্ন রাখছে 
এমন সময় মামা এসে
বললো ভাগ্নে ভাবছ কী যে
প্রশ্ন কর জবাব পাবেÑ আশ্বাস রাখে ।


মামার কাছে ভাগ্নে সবই বললো
মামাও তার জবাব তুলে ধরলো
সব সৃষ্টির স্রষ্টা যিনি 
আল্লাহ তায়ালা মহান তিনি
দু’জন মিলে প্রভু প্রেমের প্রীতি আঁকে ।


কথা ও সুর: মুস্তফা শওকত ইমরান
 

সুবহানাল্লাহ গ্লোরী বি

সুবহানাল্লাহ গ্লোরী বি টু আল্লাহ
সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ ।


লুক এট হু মেইড দ্য আর্থ ওয়াইড এন্ড লং
লুক এট হু মেইড দ্য স্কাই সো হোওয়াইট এন্ড টল
লুক এট হু মেইড দ্য সান সো ব্রাইট এন্ড স্ট্রং
লুক এট হু মেইড দ্য মুন অ্যামাঙ সো স্মল ।


লুক এট হু মেইড দ্য লাইট এন্ড এট দ্য ডেইস
লুক এট হু মেইড দ্য স্কাই এন্ড এট দ্য সীস 
লুক এট হু মেইড দ্য মাউন্ট থিংস এন্ড লি ওয়েজ 
লুক এট হু মেইড দ্য প্লান্টস এন্ড এট দ্যাট ট্রিস ।


লুক এট হু মেইড দ্য লায়ন সো ব্রিফ এন্ড স্ট্রং 
লুক এট হু মেইড দ্য ক্যামেল সো ক্রুক বাট নাইস 
লুক এট হু মেইড দ্য জিরাফ ইট  স্ন্যাকস সো লং 
লুক এট হু মেইড দ্য টাইগার 
উইথ হিজ বোথ বোথ স্ট্রাইপস ।


কথা ও সুর: ইউসুফ ইসলাম
 

ছয়টি ঋতুর খেলা

গান: ছয়টি ঋতুর খেলা
কথা: মতিউর রহমান মল্লিক
সুরঃ মাহফুজ বিল্লাহ শাহী

 

কোন দেশেতে পাবিরে তুই

ছয়টি ঋতুর খেলা
ও ও ও ও ও ও- - - - - হো হো হো
গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ শেষে
হেমন্ত শীত বসন্তেরই মেলা
সে আমার এই বাংলাদেশই
সজিব সুজলা শষ্য সুফলা
মন মাতানো প্রাণ জুড়ানো
দেশ চির শ্যামলা রে ॥

 

বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখে
লতিয়ে থাকা হাজার নিবিড় নদী
জারি সারি ভাটিয়ালীর
সেই নদীরা বয়রে নিরবধী
মাঝ দরিয়ায় হাল ঘুরিয়ে
মন মাঝিরা পাল উড়িয়ে
দিক হতে দিক দিগন্তে যায়
ভাসিয়ে সুখের ভেলা ॥

 

সকাল নামে গাছের পাতায়
শিশির কনা ধুয়ে ধুয়ে ঐ
ছড়িয়ে পড়ে আলোর পাখি
ঘর বাড়ি মাঠ হৃদয় ছুয়ে ঐ
বয়রে হাওয়া নীড় নাচিয়ে
ফুল ফসলের ক্ষেত মাতিয়ে
সুনীল আকাশ গান গেয়ে যায়
রাঙিয়ে গোধুল বেলা ॥
 
বাঁশ বকুলের এ দেশ আমার
তাল তমালের এ দেশ আমার ওগো
জগত সেরা এ দেশ আমার
একটি মহান সবুজ খামার ওগো
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
হিজলতলীর ঘাট পেরিয়ে
ঝড়ের আকাশ নেয় উড়িয়ে
খড়ের বিচঞ্চলা ॥

ছোট থাকবো না

 

ছোট থাকবো না মোরা চিরদিন 
বড় হবো নিশ্চয়ই একদিন 
সেদিন তো আর বেশি দূরে নয়
খোদার বিধানের আনবো বিজয় ॥

 

আমাদের মাঝেই লুকিয়ে আছে খালেদের মতো কত বীর 
আমাদের থেকেই সৃষ্টি হবে যে দিগবিজয়ী মহাবীর
হে খোদা মোদের শক্তি দাও নির্ভীক হবার সাহস দাও
যেন প্রমাণ করতে পারি নেই মোদের কোন সংশয় ॥

 

সবাই মিলে এসো শপথ করি 
জীবন খোদার রঙ্গে রঙ্গীন করি
তবেই শক্তি খোদা দেবেন উপহার 
কায়েম হবে ফের সমাজ খোদার।

 

কুরআন শরীফ থেকে শিক্ষা নেবো কিভাবে মানুষ হতে হয় 
রাসূলের হাদীস হতে জানতে পারবো আমাদের মূল পরিচয়
মোরা থাকবো না পিছে কোনদিন আর করবো জীবনকে বিলীন 
এই শপথে টিকে থাকতে মোদের নেই কোন ভয় ॥ 

 

কথা ও সুর: সালমান আল আযামী

লক্ষ তারার মাঝে

কী নূর খোদা দিলেন গো এই
পাঠিয়ে মরুর মক্কাতে
আঁধার মরু আলো হলো আজ
সে নূরের জালওয়াতে
রহমতের সমুদ্র আমার 
রাহমাতুল্লীল আলামিন
শ্রেষ্ঠ যিনি দোজাহানের 
আজ সারা মাখলুকাতে।

 

লক্ষ তারার মাঝে চাঁদটি যেমন
সব নবীদের মাঝে নবী গো তেমন
আরশের দেয়া এই প্রিয় উপহার 
পরশেতে খেলা করে কোলে আমিনার ॥ 

 

আহা আহা কী বদন ঘেরা নূরানী
পিঠে যার নবুয়াতি আঁকা নিশানী
বাদশাহী পেয়ে তিনি দিন ও দুনিয়ার
ঘুমাতেন পেতে পাটি খেজুর পাতার ॥

 

নূরে নূরে ঝলোমল করে ও জগত
বয়ে চলে দুনিয়ায় আলোকিত স্রোত
খুলে দিয়েছেন খোদা ফেরদাউস তার
খুশিতে ভরেছে আজি তাই সংসার ॥

 

ঝরে ঝরে রহমত আজ গো সেথায় 
রয়েছেন বেঁধে বাসা নবী গো যেথায় 
যাহারই পরশে মাটি হলো গো সোনা 
যে নাম জপিলে ভয় থাকে না গুনাহ ॥ 

কথা: সংগ্রহ
সুর: শামীমুল হক
 

এলো কে কাবার ধারে

এলো কে কাবার ধারে

কথা ও সুর : মতিউর রহমান মল্লিক

 

এলো কে কাবার ধারে আঁধার চিরে চিনিস নাকিরে!
ওকে ও মা আমিনার কোল জুড়ে চাঁদ জানিস নাকিরে।

মুতালিব আজকে কেন বেঁহুশ হেন বক্ষে খুশীর বান
বেদনার সুপ্ত ক্ষতে হাত বুলাতে কার এ আগমন
সাহারার হৃদয় ভরা ঝর্ণাধারা বইলো নাকিরে।।

বাগিচায় ছন্দ বিলায় বুলবুলি হায় আজ সে দেওয়ানা 
চুমু খায় প্রেমের ভাষায় গভীর নেশায় পেয়েই পরওয়ানা
গোলাবের অধর ভরে খুশবু ঝরে রয়না বাকীরে।।

আকাশে ভোরের রবি মুগ্ধ কবি আবেগ ছল ছল
বাতাসে ছন্দ অতুল গন্ধ বকুল সোহাগ তলমল
সাগরের উর্মিলালায় দদুল দোলায় কার এ রাখী রে।।

বেদুইন থমকে দাঁড়ায় দৃষ্টি ছড়ায় নিবিড় আনন্দে
ছেওয়ারীর লাগাম টানে কাবার পানে জান্নাতী ছন্দে
হৃদয়ের গভীর দেশে কার পরশে খুললো আঁখিরে।।

মানাতের শেষ হলো দিন আজকে বিলীন ঘোর আঁধারের যুগ
কাবাগর দীপ্ত আবার আলোয় হেরার সমাপ্ত দুর্ভোগ
কলেমার শহদ বিলায় আঁধার পাড়ায়  এ কোন সাকীরে।।

ইরানের নিভলো আগুন জ্বললো দ্বিগুন তৌহিদী রওশন
দানবের ঘর ভেঙ্গে তায় গড়লো সেথায় বেহেস্তী গুলশান
আজাজীল আজ হতবাক এ কোন বিপাক আসলো হাঁকিরে।।

আমিও সেই সে নবীর দীপ্ত রবির আশিম দেওয়ানা
রাহে তার যা কিছু সব বেলা হিসাব দেবই নজরানা
জেহাদের ময়দানে তাই যাই চলে যাই স্বপ্ন আঁকিরে।।

নিজেকে চেনার তুমি

নিজেকে চেনার তুমি

কথা : মতিউর রহমান মল্লিক

সুর : মশিউর রহমান

 

নিজেকে চেনার তুমি তওফিক দাও খোদা
তোমাকে চেনার তুমি তাওফিক দাও 

আলোয় দ্বীপ্ত করো নয়ন আমার
ভোরের বিভায় ভর এ মন আমার।
তবু অচেনার যত পর্দা সরাও।

 

যে জানে না  তোমাকে সে জানে না কিছুই
জানেনা সে জীবনের অথৌই মানে

যে মানে না তোমাকে সে মানে না কিছুই
গভীর আঁধার তারে সতত টানে
বাসে না সে ভালো এই তামাম জাহান
কোন প্রাণ তার কাছে পায় না কো দাম
অভিশাপ দেয় তারে কালের ক্ষরা।

 

সরল পথের দিশা তুমি ছাড়া  কেউ আর
দেখাতে পারেনা আর পথের মালিক
মনের ভ্রান্তি যত তুমি ছাড়া কেউ আর
মোছাতে পারে না ওগো মহান খালিক


দাম্ভিক সংসয় যুগে যুগে মিথ্যার বেসাতি করা

নিজের স্বার্থ ছাড়া বুঝে না কিছু
বস্তুই সব তার লক্ষ্য জড়ো
স্বদেশের ব্যথা তারে করেনা কাতর
বিবেকের ঘরে তার শুধুই পাথর

নিজে কি বোঝেনা আহা বুজেনা সে তাও।

 

 

নদ-নদী আর খাল

নদ-নদী আর খাল পুহুইরের দ্যাশটা মোগো ভাই

কথা ও সুর : মালিক আব্দুল লতিফ

অ্যালবাম: নীল আসমান

হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী

 

নদ-নদী আর খাল পুহুইরের দ্যাশটা মোগো ভাই
হেইয়ার লাইগ্গা কোম টাহাইদ্দা লঞ্চে বাড়ি যাই ॥

 

হাঙ্গা দ্যাশের মানে মোগো রাউগ্গা মানু কয়
কোদা-কুদি বাইজ্জা গ্যালে  পের্থোমে পায় ভয়
শেরে বাংলার নাম না কইলে পাইনা কোন ঠাঁই ॥

 

বেবাক্কে কয় মোগো নাহি ডুইব্বা মরার দ্যাশ
আষাঢ় মাসে নামলে দেওই হ্যাতেই নাহি শ্যাশ
মানিক মিয়ার কথা হোনলে ইকটু ভরন পাই ॥

 

আলেম ভরা মোকামিয়ায় আছে চরমোনাই
একছের আলেম শর্ষিনাতে কোম্মে গ্যালে পাই
দ্যাশ বিদাশে সাঈদীর নাহান আলেমতো আর নাই ॥

 

কথা ও সুর : মালিক আব্দুল লতিফ
 

মোমীনের গুনাবলি

জেনে নেই আজ মোমীনের গুনাবলি

কথা ও সুর : ডাঃ সিরাজ উদ্দিন

অ্যালবাম: নীল আসমান

হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী

 

জেনে নেই আজ মোমীনের গুনাবলি
পরখ করে দেখি নিজেকে আমি
জান্নাতি হবো কিনা জাহান্নামি ॥

 

আমি কি সৎকাজে উৎসাহিত হই ?
কোরানের বানী শুনে আমার ঈমান কি বৃদ্ধি পায় ?
আমি কি অন্যািয় করে ফেললে অনুতপ্ত হই ?
আমার মধ্যে অনুসোচনা জাগে ?
আমি কি শিরক মুক্ত হতে চেষ্টা করেছি ?
দ্বীনকে কতটুকু জানতে চেষ্টা করেছি ?
আমার ঈমান, আমার বিশ্বাস, আমার নিয়ত,
আমার কাজ কতটুকু বিশুদ্ধ ?
আমি কি রাসূল স. এর সুন্নত অনুযায়ী প্রতিটি আমল করে থাকি?
আমি কি মুনাফিকি বর্জন করতে পেরেছি ?

 

প্রতিটি প্রশ্ন আজি জানতে হবে
প্রতিটি হুকুম মেনে চলতে হবে
করেনিতে হবে এই জীবনকে দামী ॥

 

রঙিন পোষাক পরে পদবি নিয়ে
দুনিয়ার নাম ডাক সব হাকিয়ে, লাভ কি ?
হতে যদি নাই পারি মুমীন আমি ॥

 

কথা ও সুর : ডাঃ সিরাজ উদ্দিন
 

জাহেলেরা তাগুতেরা ঐ

জাহেলেরা তাগুতেরা ঐ দেখ আসছে

কথা ও সুর : মুজাহিদ আল মুসা

অ্যালবাম: নীল আসমান

হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী

 

জাহেলেরা তাগুতেরা ঐ দেখ আসছে
হও আজ আগুয়ান ধ্বনি তুলে তাক্বীর
খানজালা খাবাবেরা কাব বিন মালিকেরা
ছুটে চল চল ছুটে সব বাধা মারিয়ে ॥

 

নেশায় বিভোর আজ খোদাদ্রোহী সব
ছড়াতে চায় যত জাহেলিয়াত
হেলালী পতাকাটা উঁচু করে রাওয়াহা
পিছে তার ছুটে যায় যত হাসসান
মরিচিকা দেখে ওগো স্রান্ত পথিক
হেরার পাদদেশে ডাকছে নকিব
চির বসন্তের চির শীতলতা
ছন্দে দোলায়িত আল ইসলাম
অম্লান জীবনের পথ সেখানে ॥

 

তায়েফের প্রান্তরে বালাকোট কারবালা
পথ দেখিয়ে যায় ত্যাগের মহান
মরুপথ পাড়ি দিয়ে আয়ুবির খেলজির
ফুল বাগীচার ঐ বর্ণিল ঘ্রাণ
তাড়িয়ে তাড়িয়ে ঐ পাশবের দল
সবুজ ঐ পতাকাটা ঊড়া পতপত
পাশবিক উল্লাস চিৎকার কোলাহল
চুরমার করে ঐ বেলালের ডাক
ডাক আসে আয় ছুটে যাই এগিয়ে ॥

 

কথা ও সুর : মুজাহিদ আল মুসা
 

এই দিন ও রাত কত

এই দিন ও রাত কত আসে আর যায়

কথা : জাকির আবু জাফর
সুর : খালিদ এম. শাহিন

অ্যালবাম: নীল আসমান

হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী

 

এই দিন ও রাত কত আসে আর যায়
কত রংধনু হাসে জীবন মেলায়
ফিরে আসেনা শুধু ফেলে আসা দিন
 কালের অতলে চিরতরে হারা ॥

 

শৈশবে সেই ঝড়ে যাওয়া চঞ্চলা দিন
এলো মেলো বেড়ে ওঠা স্বপ্ন রঙিন
নেই সেই উদাসি নিরব দুপুর
সবকিছু স্বৃতি হয়ে পিছু ডেকে যায় ॥

 

জীবনের খাতা থেকে একে একে
ঝড়ে যায় সবকটি পাতা
বাকী থাকে বাকী থাকে পাতাবিহীন খাতা 

 

প্রেম ভালোবাসা কত মমতার গান
নিয়তির ঝড় ভেঙে করে খান খান
এতো সব চাওয়া পাওয়া মিছেই ভুল
বাসনার বালুচরে শুধু কেঁদে যায় ॥

 

কথা : জাকির আবু জাফর
সুর : খালিদ এম. শাহিন
 

আমি মানুষ কিযে অসহায়

আমি মানুষ কিযে অসহায়

কথা ও সুর : মুজাহিদ আল মুসা

অ্যালবাম: নীল আসমান

হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী

 

আমি মানুষ কিযে অসহায়
মরণ কখন মোর জানি না
আমলের সঞ্চয় নেই ধার
পরকালে পাবো কি তা জানিনা ॥

 

কবর সবাইকে ডাকছে প্রতিদিন
কারো কান কভূ শোনেনা হায়
কোরানের পথে মুক্তি শুধু
সে পথের রাহি হতে পারিনি হায়
সাজাতে বালুর ঘর কত ভাবনায়
ক্ষনগুলো সবই যায় চলে যায়
দ্বীনের তরে ক্ষন পায়না যে হায় ॥

 

নানা রং ফুল ফল সবুজ পাতাগুলো
বনানীতে সকলের হৃদয় টানে
পাতার সে মরমর ফুলের সুবাস রং
চিরতরে একদিন ধূলায় মিশে
দূর পথিকের বিশ্রাম সম এই জীবন
শেষে কালো রাত এসে যায়
সাজানো ভূবন খানি যায় ফেলে যায় ॥

 

কথা ও সুর : মুজাহিদ আল মুসা
 

নীল আসমান নীল

নীল আসমান নীল আসমান

কথা ও সুর: মুজাহিদ আল মুসা

অ্যালবাম: নীল আসমান

হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী

 

নীল আসমান নীল আসমান
কত সুসমায় ভরা নীল আসমান ঐ
কি আছে অপরুপ এর চেয়ে আর ॥

 

জমিনের এই বিশাল বিছানার উপর ঐ আসমান
ছাদের মত তা আমার প্রভুর মহান নিশান
নীল আসমান আর নীল সাগর
এক হয়ে দিয়েছে অশেষ সুষমা 
কিযে অফুরাণ কিযে অফুরাণ ॥

 

অপার উদার ঐ আকাশ শুধু
আমাদের তরে তার সুষমা বিলায়
এমন উদারতা ধরাতে কি নাই
আলী ওমর আবু বকরের মাঝে পাই

 

চাঁদহারা যে রাতে ধরা থাকে শুধু আধার ছাওয়া
আকাশে তখন মায়াবী হাজার তারার মেলা
অযুত চোখেরি এক আহ্বান
আয় সবে আয় গাই যে শুধু
আল্লাহ মহান আল্লাহ মহান ॥

 

কথা ও সুর: মুজাহিদ আল মুসা