গানের স্বরলিপি

স্বাধীনতা তুমি আমার

দীপ্ত ভোর-ব্যতিক্রম

স্বাধীনতা তুমি আমার মুখের ভাষা কবির কবিতা গান
স্বাধীনতা তুমি হাজার মায়ের কোলে একটি অবুঝ সন্তান।


স্বাধীনতা তুমি কৃষ্ণচুড়ার ডালে বর্নিল বর্ণমালা
স্বাধীনতা তুমি সকালের সূর্য বিকেলের গোধূলী বেলা
স্বাধীনতা তুমি খেজুর পাতায় বাধা হাজার চরকের প্রাণ।


স্বাধীনতা তুমি খোলা নীলিমার নীচে উড়ে যাওয়া বকের সারি
স্বাধীনতা তুমি পরিপাটি ঘর আর তুলনা বিহীন নারী
স্বাধীনতা তুমি বৈশাখে বয়ে যাওয়া তীব্র চঞ্চল বান।


স্বাধীনতা তুমি পাপিয়া সুরের গানে মধুর কোকিল পাখি
স্বাধীনতা তুমি মায়ের অশ্রæ আর কাজল মাখানো আখি
স্বাধীনতা তুমি শহীদি মিছিলে পাওয়া প্রভূর সীমাহীন দান।

 

কথাঃ আল-মুকাদ্দাস
সুরঃ মাহফুজ মামুন

যার শুন্যতা এনে দেয়

দীপ্ত ভোর-ব্যতিক্রম

যার শুন্যতা এনে দেয় বিষন্নতা
সে আমার মা
যার ছোয়া পেলে আমি ভুলে যাই দুঃখ
ভুলে যাই সব বেদনা।


মাকে ছেড়ে বহুদূর আমি আজ ব্যাথাতুর
অন্তর খুজে ফেরে মাকে
জমা হলো শত দুঃখ ভারি আজ এই বুক
চোখ মুদে আমি ভাবি মাকে
অশান্ত এই মন ছিড়ে কপট আবরণ
টেনে আনে মায়ের কল্পনা।


রোগ যাতনায় যখন আমি ছিলাম দিশেহারা
রাত্রি জেগে শিয়রে দাড়ানো মায়ের স্নেহের পরশ পেয়ে
ডুকরে কেদেছি ভেবেছি বৃথা এ জীবন মা ছাড়া


না বলা শত কথা অব্যক্ত শত ব্যাথা
তোলপাড়া তোলে আজ হৃদয়ে
মায়ের স্নেহের ছোয়া এই তো বড় পাওয়া
ভাবি আমি বহুদূরে দাড়িয়ে
একজন যার লাগি দূরে বসে আমি কাদি
নয় সে আর কেউ সে আমার মা।


কথা ও সুর: এ. এস. এম মুয়াজ্জাম হুসাইন
 

হে প্রিয় রাসূল

দীপ্ত ভোর-ব্যতিক্রম

হে প্রিয় রাসূল
তোমারি জন্য ধরা ছিল  যে ব্যাকুল
নিকষ আধারে আলোর মশাল নিয়ে
অকূলে দেখিয়েছ কূল।


আলামীন ছিলে তুমি  তোমাতে মুগ্ধ সবই
বিশ্বকে করেছ জয়
তুমি তো শ্রেষ্ঠ নবী শ্রেষ্ঠ বাণী নিয়ে
এসেছ ধরায়
সে বানীর আলোকে আলোকিত হয়ে ধরা
রবের ইবাদতে  হলো মশগুল।


খেয়ানত করোনিকো কখনো আমানতের
তুমি প্রদ্বীপ শিখা ছিলে উজ্জ্বল আদর্শের

 

দয়ার সাগর তুমি মায়ার আধার তুমি
তুমি তো শ্রেষ্ঠ শাসক
প্রমাণ করেছ তোমারি মহিমায়
তুমি তো শান্তির বার্তাবাহক
শান্তির ছায়া তলে লাখো কোটি দলে দলে
তোমাকেই মানলো রাসূল।

 

কথাঃ নিয়াজ মাখদুম 
সুর: এ. এস. এম মুয়াজ্জাম হুসাইন

আমরা রাঙাবো নতুন

দীপ্ত ভোর-ব্যতিক্রম

আমরা রাঙাবো নতুন দিগন্ত
রাঙাবই দীপ্ত ভোর
খুলে দেব আরুদ্ধ দরজা
খুলে দেব নব দোর

সংগ্রামী চোখের স্বপ্ন ফুলকি
ভয়কে দিয়েছে তাড়িয়ে
বাধার প্রাচীর বাধার পাহাড়
বাধার সিন্ধু যাব মাড়িয়ে।

 

খুনের দরিয়া মোরা দেখে দেখে
আজ আর পাইনা ভয়
সংগ্রাম করে মোরা শাহাদাত চাই
রক্ত এনে দেবে জয়
আমার ভায়ের রক্ত কণা থেকে
লাখো সৈনিক যাবে ছড়িয়ে।

 

সামনে এগিয়ে যাব সবাই মিলে
দীপ্ত পায়ে করে ভর
প্রান দিয়ে মুজাহিদ হাসতে পারে
শপথ মানে না কোন ডর
সামনে চলো রক্ত সিড়ি বেয়ে
শহীদি মিছিল যাবে এগিয়ে।


কথা ও সুর: মাহিউদ্দীন ফাহাদ

দেশ কে ভালোবেসে

দীপ্ত ভোর-ব্যতিক্রম

দেশ কে ভালোবেসে জীবন দিলো যারা
তাদের স্বরণ করি বারবার
দূর্লঘ্ন পথ পাড়ি দিয়েছে যারা
চূর্ণ করে শত অনাচার
স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা
তবু কেন সারা দেশে অধীনতা।

 

বিডিআর বিদ্রোহ দেখে আজ
সারা বিশ্বের মানুষ হতাশ
কি অপরাধে দেশের সিমান্তে
ঝুলে থাকে ফিলানির লাশ
বুটের তলায় দেখ কাদছে মানুষ
গনতন্ত্রের একি সুখের কথা।

 

এখানে মানুষ মারে পিটিয়ে
মানবতা ধূলায় মিশিয়ে যাক
আজো দর্শক দেখে চেয়ে চেয়ে
প্রতিবাদী নয় শুধু নির্বাক
মানুষ কি দিন দিন অনুভূতিহীন
গড়েছে বুকের মাঝে কঠোরতা।

 

কথা ও সুর: নিয়াজ মাখদুম

তুমি চলে গেছ বলে

দীপ্ত ভোর-ব্যতিক্রম

তুমি চলে গেছ বলে মন আকাশে
মেঘের ঘনঘটা আজ
শত বিরহ মাঝে শপথ নিয়েছি নতুন
এগিয়ে নেব তোমার রেখে যাওয়া কাজ।

 

মল্লিক সে তো গানের পাখির নাম
মোদের ছেড়ে গেছে চলে
যায়নি যায়নি চলে প্রতিটি গানের সুরে
তার স্মৃতি বার বার দোলে
তোমার ঐ চোখে জানি আকা ছিল
আকা ছিল কোরানের রাজ।

 

কতদিন দেখিনা মায়াবি হাসি তোমার
শুনিনা গান ঐ গলে
ভোরের পাখিরা ও কাতর তোমার শোকে
সুমধুর গান গেছে ভুলে
তোমার দেখান পথে থাকব অটল
গড়ব কোরআনি সমাজ।

 

কথা ও সুর: মাহিউদ্দিন ফাহাদ