গানের স্বরলিপি

একটি গান লিখেছি

বিকল্প সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ

একটি গান লিখেছি তোমার জন্য
ওগো প্রিয় মা জননী
কতদিন হয়ে গেল দেখিনি মাগো
তোমার ঐ মধু মুখ খানি
মাগো মা ওগো মা
কেন ঝরে চোখের পানি
মাগো মা ওগো মা
আজো ঝরে চোখের পানি ।

 

দুহাত আজি খুঁজে ফেরে
তোমার আঁচল ছোঁয়া
হৃদয় ফ্রেমে বাধা ছবি
চোখের জলে ধোয়া
আঁধার রাতে স্বপ্নে শুধু
দেখি ঐ মধু মুখখানি ।

 

অবুঝ হৃদয় আজ অসহায়
হরিয়ে তোমায় মাগো
স্মৃতির জালে জড়িয়ে আমায়
কোথায় তুমি থাক
তুমিহীনে এই শুন্য ঘরে
নেই আর কোন সুখ জানি।

 

কথা: আবরার হোসাইন রাজীব
সুর: ওবায়দুল্লাহ তারেক

রূপালী চাঁদের

বিকল্প সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ

রূপালী চাঁদের জোসনায়
মাগো মনে পড়ছে তোমায়
জানিনা মা কোথায় আছো
জানিনা মা কেমন আছো
কোন সে অজানা ঠিকানায়।

 

বুকভরা ভালোবাসা সোহাগ প্রীতি
কত হাসি কত গান কতনা স্মৃতি
মনে পড়ে বার বার ভোলা যায় না
দুঃখ বেদনা কত সুখের তিথি
সব ছেড়ে পরপারে চলে গেছো তুমি
আমি বড় একা অসহায়।

আ..আ...আ....।

 

হে খোদা দয়াময় ওগো মহিয়ান
তারে দিও জান্নাতে উঁচু সম্মান
জান্নাতে তার সাথে করাইও দেখা
সুমিষ্ট শুধা তারে করাইও পান
এ জীবনে করি প্রভু যত ইবাদাত
নাজাত দিও মাকে তারই উছিলায়।
আ..আ...আ....।
 

কথা: খোবাইব মাহমুদ
সুর: রবিউল ইসলাম ফয়সাল

কোন সে মালিক

বিকল্প সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ

কোন সে মালিক সুন্দর বসুধার
কার ছোঁয়াতে বলো তারাদের এ বাহার
তিনি আর কেউ নন যিনি সেই মহাজন
যার সমকক্ষ নেই কেউ আর।

 

রিমঝিম বরষায় বৃষ্টির নূপুরে
গ্রীষ্মের গরমে কাঠফাটা দুপুরে
তারই রহম ধারায় অবিরাম ভিজে যাই
তিনি প্রভু দয়াময় অসীম অপার।

 

মাঠভরা ফসলের সবুজ দিগন্তে
ঐ দূর আকাশের নীলের সীমান্তে
যে দিকেই চোখ যায় তাঁহারেই খুঁজে পাই
তিনি প্রভু সুমহান করুনার আঁধার।

 

কথা: খোবাইব মাহমুদ
সুর: শফিক আদনান

অপরুপ সুন্দর এই

কথা দাও-খানজাহান সাহিত্য সাস্কৃতিক সংসদ

অপরুপ সুন্দর এই পৃথিবী
সবই প্রভুর দান 
গাছ গাছালি আর পাখপাখালি 
করে তাহার গুনগান ।

 

বৃক্ষরাজি আর ফুল ফসল
সবই দিলেন তিনি
করিনা তাহার শুকরিয়া হায়
সৃজন করলেন যিনি 
সারা জাহানের মালিক তিনি 
তিনি যে রহিম রহমান ।

 

আঁকাবাঁকা ঐ শ্রোতশ্বিনী
তার ইশারায় চলে
দূর আকাশের মেঘমালা
যায় যে উড়ে সুদূরে
করিনা তাহার আদেশ পালন 
 কেমনে পাবো এহসান ।

 

কথা ও সূর: কামরুল ইসলাম
 

চোখ জুড়িয়ে যায়রে

কথা দাও-খানজাহান সাহিত্য সাস্কৃতিক সংসদ


চোখ জুড়িয়ে যায়রে আমার
চেয়ে ধানের ক্ষেতে
মন জুড়িয়ে যায়রে আমার
মধুর গানে মেতে ।

 

বিকেল বেলা পবন এলে
পল্লী দুলাল যায়রে মাঠে 
জল আনিতে যায় রে বধু 
মাটির কলস কাখে।

 

নীল আকাশে ঝাঁক বাধিয়া
গাং চিলে যায় গান গাহিয়া 
রাখালিয়া বাঁশিরও সুর 
যায়রে আমায় ডেকে ।

 

সন্ধ্যা এলে মুক্ত কুজন
আঁধারেরই হয় আগমন 
ক্লান্ত দেহে যায়রে মানুষ
গভীর ঘুমে মেতে ।

 

কথা: হাফিজুর রহমান
সুর: আঃ রাজ্জাক মোড়ল
 

খানজাহানের পূণ্যভূমি

কথা দাও-খানজাহান সাহিত্য সাস্কৃতিক সংসদ


খানজাহানের পূণ্যভূমি খলিফাতাবাদ
খানজাহানের পূণ্যভূমি সোনার বাগেরহাট
সাত আকাশের সূর্য আমার 
সাত আকাশের চাঁদ ।

 

পান সুপারি নারকেল আম জাম
বাগানেতে ভরা
হরেক রকম গাছ গাছালীর
ছায়াতে যে ঘেরা 
আমি পাইনি কোথাও এমন মাটি
এমন মায়ের ফাঁদ।

 

এইখানে সেই ষাট গম্বুজ
কত কীর্তি আর
মনভোলানো হাজার দিঘী
মসজিদ ও মাজার
আমি যতই দেখি মন ভরে না
মেটে না তো স্বাদ।

 

মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে
নদীর পরে নদী
সুন্দরবনের শিয়র দিয়ে
বইছে নিরবধী
আমি যতই ভাবি সেই সব কথা
ততই বাড়ে স্বাদ।

 

আল্লাহর ওলী লাখো লাখো
লাখো মুজাহিদ
জীবন দিয়ে গড়লো হেথায়
মানবতার ভীত
আমি যতই খুজি সেই ইতিহাস
অশ্রু ভাঙে বাঁধ।

 

সেই সোঁনালী দিনগুলি ভাই
আসবে তাড়াতাড়ি
আল-কোরআনের সমাজ যদি
আবার গড়তে পারি
খানজাহানের মত করি 
খেলাফাতাবাদ। 

 

কথা ও সুর: মতিউর রহমান মল্লিক