বিশিষ্টজনদের সম্মানে সসাসের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

বিশিষ্টজনদের সম্মানে সসাসের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

দেশের শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস) এর আয়োজনে বিশিষ্টজনদের সম্মানে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকার একটি মিলয়াতনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক মানারাত ইন্টারন্যাশলাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক জনাব রাশেদুল ইসলাম। বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার আসাদ বিন হাফিজ এর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি মোশাররফ হোসেন খান, নাট্যকার শাহ আলম নূর, কবি সোলায়মান আহসান, প্রফেসর সাইফুল আরেফিন লেলিন, বাচিক শিল্পী শরীফ বায়জিদ মাহমুদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চারুশিল্পী ও কার্টুনিস্ট ইব্রাহিম মন্ডল ও বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফার আরিফুর রহমান, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ইব্রাহিম বাহারী, মাহবুব মুকুল, আলমগীর হোসাইন, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মোস্তফা মনোয়ার ও কবি আমিনুল ইসলাম

ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী হাসনাত আব্দুল কাদের, শিল্পী আমিনুল ইসলাম, শিল্পী গোলাম মাওলা, কবি আমিনুল ইসলাম, শিল্পী মশিউর রহমান, শিল্পী লিটন হাফিজ চৌধুরী, শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক, শিল্পী মাহফুজ মামুন,গীতিকার সুরকার আবুল আলা মাসুম ও মাহফুজ বিল্লাহ শাহী, শিল্পী গাজী আনাস রওশন, নাট্যকার আবু হেনা আবিদ জাফর, হোসনে মোবারক, মনিরুল ইসলাম, সংগঠক নাসির উদ্দিন আল মামুন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, আকরাম উদ্দীন ও সসাসের সহকারী নির্বাহী রেজাউল ইসলাম।

বিশিষ্ট উপস্থাপক আহসান হাবিব খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বিশিষ্ট ক্বারী খোবাইব মাহমুদ তানঈম, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সসাসের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, সারাদেশে ইসলামি সংস্কৃতি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সসাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক সংগঠক, ব্যক্তিত্ব, সমন্বয়ক, সুধী, শুভাকাঙ্খী সকলের প্রতি ইসলামি সংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারে সসাসের কাজে সহযোগিতা কামনা করেন ।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান তার বক্তব্যে বলেন: সংস্কৃতির মুল মর্মকথা হচ্ছে, আমাদের হার্টবিট, হ্নদস্পন্দন চলছে যার কথায় সেই মহান আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। সর্বশ্রেষ্ঠ রাহবার, মহামানব, রাসুলুল্লাহ সা. কে অনুসরণ করতে হবে। রাসুল সাঃ ছাড়া মানব প্রেম, মনুষ্যত্ব, দয়া ও মহানুভবতা কোন দার্শনিক, গবেষক বা অন্য নেতা আমাদের শেখাননি। তার আদর্শের আলোকেই আমাদের একটি পজিটিভ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে বাচানোর জন্য অশ্লীল ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। আমাদের পরিবার আমাদের মুল ভিত্তি,সংস্কৃতির মুল কথা হচ্ছে আমাদের পরিবার,আর পারিবারিক জীবন রাখার জন্য ধর্মের প্রয়োজন। পারিবারিক জীবন ধ্বংস হয়ে গেলে সমগ্র মানবজাতির ধ্বংস অনিবার্য ।

প্রধান আলোচক রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে প্রফেশনালিজম নিশ্চিত করে এই ময়দানে যেন নতুন নতুন কাজ করতে পারি, যে কাজগুলো সমন্বিত হবে এবং আগামীর বাংলাদেশে জাতির জন্য কল্যাণকর হবে। আজকের ইফতার অনুষ্ঠান অবশ্যই সেই ধরণের একটি সুযোগ।

কবি মোশাররফ হোসেন খান বলেন, আমরা যে যেখানে থাকি, যা কিছুই করি সর্বদা সুন্দর ও শুদ্ধতার জন্য কাজ করে যেতে হবে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে যে সকল প্রশ্ন মনে সৃষ্টি হবে তার উত্তর খুঁজতে হবে একমাত্র আল কুরআনে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আসাদ বিন হাফিজ বলেন, উকাজের মেলায় যে আবৃত্তি হতো অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে, সে কবিতা আবৃত্তি রাসুলুল্লাহ (স.) মসজিদে নিয়ে এসে সুস্থ সংস্কৃতির যাত্রা শুরু করেছেন। আমাদের সে প্রচেষ্ঠা চালাতে হবে। রমজান মাসে শুধু রোজা রেখে উপোস না থেকে রমজানের যে মূল উদ্দেশ্য সেই তাকওয়া অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।