ইতিহাস

হাজার বছরের লালিত গৌরবময় ঐতিহ্যের চারণভূমি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এখানে বিভিন্ন মত ও বিশ্বাসী মানুষের বসবাস থাকলেও সবার মাঝেই রয়েছে এক বিরল রকমের সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি। রয়েছে মোহিত করা কৃষ্টি-সংস্কৃতির অপূর্ব চর্চা। স্বাধীনতার পর এ যেন জাতীয় দৃশ্যপটের দ্রুত পরিবর্তন হয়। এদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে উপজীব্য করে গড়ে তোলার কথা থাকলেও সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক কিছুরই পরিবর্তন সাধিত হতে থাকে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠে বিভিন্ন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক জোট। কিন্তু এদের কারোরই লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কর্মসূচিতে দেশের ঐতিহ্য কৃষ্টি ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটেনি।

সময়ের এমন বাস্তবতায় সারাদেশে সুস্থ দেশীয় ও মূল্যবোধের সংস্কৃতি বিকাশে পূর্ব থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে একটি ছাতার নিচে সমন্বয় করতে জাতির আশার প্রতীক হিসেবে ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস)।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতি গঠন ও সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে নানান কর্মসূচি পালনসহ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা ও বিভিন্ন প্রকাশনা প্রকাশের মাধ্যমে সসাসের কর্মকাণ্ড সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সসাস দেশের জাতীয় দিবস পালন, উৎসবসহ মানুষের সার্বিক জীবনে সুস্থ সংস্কৃতির চাহিদা মেটাতে গান, অভিনয়, আবৃত্তি, তিলাওয়াত, শর্টফিল্ম ও নাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।